
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বাসভবনে শিক্ষাখাতে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা খরচ না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক- সব বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থাকে রাস্তায় বসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।’ তিনি এদিন বলেন, ‘ কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে তুলকালাম হলো। রাজ্যপাল পূর্বতন উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। তাই নিয়ে ধর্না,মারপিট, গুণ্ডা ঢুকিয়ে জোর করে নতুন উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ নিজের পছন্দের লোককে উপাচার্য করে কাটমানি খেতে চান তৃণমূল নেতারা। এইভাবে উচ্চ শিক্ষাকে রাস্তায় বসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে একাধিক শিক্ষা প্রকল্পে কেন্দ্রের পাঠানো টাকা রাজ্য খরচ করতে পারেনি। ৪০৩৪ টি বিদ্যলয়ের জন্য ৩৯৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। কোন কাজ হয়নি। মেদিনীপুরের সাংসদ অভিযোগ করেন, ‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষার পরিবেশ নেই। রাজনীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির জন্য মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে।
আমফানের ত্রাণ নিয়ে এদিনও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ ঝড়বৃষ্টি, বিপর্যয়ের সময়ে যেমন সিপিএম টাকা কামাতো, এদেরও সেই রোগে ধরেছে। আমার নির্বাচনী এলাকায় দাঁতনে, এগরা, নারায়ণগড়ে বিজেপি কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছেন। দাঁতনে ১৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা হয়েছিল যাঁদের বাড়িঘর ভেঙেছে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ২০ হাজার টাকা পেলেন এমন ২৭০ জন যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে। আমি এই কারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলাম ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে যাতে ক্ষতিপূরণের টাকা পড়ে। তানাহলে ক্ষতিপূরণের টাকা ক্যাডার ডেভেলপমেন্ট ফাণ্ডে খরচ করে তৃণমূল নষ্ট করে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: অতিমারিতে বস্তি উন্নোয়নে শ্রমিক পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পুরসভা
তিনি বলেন, ‘আমফানের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে যে কেন্দ্রীয় দল এসেছে রাজ্যের উচিত তাঁদের সহযোগিতা করা । তাহলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। এদিন একশো দিনের কাজের টাকা লুঠ হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ একশো দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি টাকা পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে। আর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে।