পূর্ব মেদিনীপুরে পুকুর থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুর: পুকুর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। খুনের অভিযোগ তুলে প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়রা প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অস্তিচক এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত গনেশ চন্দ্র মন্ডল (৪২)। মৃত গণেশ কর্ম সূত্রে দুবাইতে থাকতেন। লকডাউনে কারণে বাড়ি ফেরে গণেশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণেশ কর্মসূত্রে দুবাইতে থাকার কারণে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা ছিল। এনিয়ে ব্যবসার জন্য বন্ধুবান্ধব থেকে প্রতিবেশীদের ব্যবসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন। বুধবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরে গণেশ। খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমাতে চলে যান গণেশ সহ তার পরিবারের সদস্যরা। রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ মোবাইলে ফোন আসার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান গণেশ। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রতিবেশী দীপক মন্ডলের বাড়িতে বেশি যাতায়াত করতো। ফিসারি করার জন্য দীপক গণেশের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নেয় বলে তার পরিবারের দাবি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিবারের লোকেরা ও প্রতিবেশীরা গনেশকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে গণেশের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মৃত গণেশের আত্মীয় থেকে প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশী দীপক মন্ডল এর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীদের একাংশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুকুর থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।প্রতিবেশী দীপক সহ পরিবারের চার সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
প্রতিবেশী বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, সকাল জানতে পারেন রাত থেকে গণেশকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে খোঁজাখুঁজির পর পুকুর থেকে মৃতদেহ যুবকের উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে খুন করা হয়েছে। গনেশের মাথা ও শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত গণেশের ভাই কার্তিক মণ্ডল বলেন রাতেই বাড়ি ফিরে ছিল দাদা। ফোন আসার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। দাদার খোঁজ করে প্রতিবেশী দীপক মন্ডলের বাড়িতে যাই।
প্রতিবেশী জানায়, এখন কাউকে কিছু বলতে হবে না, সকালের সন্ধান চালানো হবে। কার্তিক বাবু আরও বলেন, প্রতিবেশী দীপকের সঙ্গে দাদার ফিসারি সংক্রান্ত টাকা-পয়সার লেনদেন হত। প্রতিবেশী বিশ্বনাথ বেরা টাকা লেনদেন হতো। সাত সকালে প্রতিবেশীর দীপক মন্ডলের স্ত্রী বাড়িতে এসে মৃত গণেশের মোবাইল থেকে সব কল লিস্ট ডিলিট করে দিয়েছে। এই ঘটনায় এগরা থানার পুলিশকে জানিয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি তুলেছেন।