ছট পুজোর বাজারে ভিড় নেই, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: শারদ উৎসব, দীপাবলীর পরে কোচবিহারের অন্যতম বড় উৎসব ছট পুজো। শুধুমাত্র সম্প্রদায়ভুক্ত নয় কোচবিহারের আপামর জনসাধারণ এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ইতিমধ্যেই পুজোকে কেন্দ্র করে সাজো-সাজো কোচবিহার জেলায়। তৈরি হচ্ছে ঘাট, তৈরি হচ্ছে তোর্সা নদীর সাঁকো। শুধু তাই নয় প্রশাসনিক ব্যস্ততাও তুঙ্গে। এরই মাঝে কোথাও যেন দীর্ঘ শ্বাস ফেলছেন ব্যবসায়ীরা।
পুজোর বাজারে প্রদীপ, কুলা, ঝুড়ি এবং অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যারা পসরা নিয়ে বসেন তাদের গলায় হতাশার সুর। মঙ্গলবার সকালে দেখা গেল এই চিত্র। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারে যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা ছট পুজোর উপকরণ নিয়ে নিজেদের পসরা সাজান, তাঁদের কথায় ব্যবসা সম্পূর্ণ মন্দা। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা কতটা হবে তা নিয়েও সন্দিহান তারা। তারপরেও কোথাও যেন আশাবাদী রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখনো বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে, ব্যবসায়ী চন্দ্রা বিন্দিয়া জানান, খুব হালকা তালে কেনাবেচা চলছে। আগামী কয়েকদিনে কেনাবেচার গতি কিছুটা বাড়াতে পারে।
ব্যবসা কিছুটা উন্নতি ও হতে পারে। এমনটাই আশা নিয়ে কিন্তু পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা। জিনিসের দাম বিগত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। আমদানির ক্ষেত্রে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। ক্রয় মূল্যবিগত বছরের তুলনায় অন্তত ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ফল এবং অন্যান্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বলাবাহুল্য অন্তত ১০ হাজার পরিবার প্রতি বছর হজ করেন কোচবিহারে তোরসা নদীর ঘাটে। নদীর ঘাট ছাড়িয়ে সাগরদিঘী সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দীঘি গুলিতেও ছট পুজোর আসর বসে। তাই বিক্রিবাট্টা মন্দ হয়না ব্যবসায়ীদের। কিন্তু চলতি বছরের চিত্রটা সম্পূর্ণ আলাদা। ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীরা বসলেও ক্রেতাদের দেখা নেই। হয়তো আগামী কয়েকদিনে ব্যবসা জমে উঠবে ছট পুজোর।