৩৫৬ ধারা প্রয়োগের প্রয়োজন নেই, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই বাংলার মানুষ তৃণমূলকে বিসর্জন দেবে : জগন্নাথ সরকার

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর : ‘অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল তৃণমূলকে হঠাতে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের প্রয়োজন থাকলেও আমরা বিরোধী, রাজ্যের মানুষই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৃণমূলকে বিসর্জন দেবে।’ এমনটাই বললেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। রবিবার নবদ্বীপে সাংগঠনিক কর্মী বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন।
জগন্নাথবাবু ছাড়াও আজকের দলের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধার্থ নস্কর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জগন্নাথ বাবু আরো বলেন, আপাদমস্তক সীমাহীন দূর্নীতিতে ছেয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস দলটি। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর, হাজার চেষ্টা করেও দলের আর শুদ্ধিকরণ হবে না,এবার নিশ্চিতভাবে রাজ্য থেকে চেটে ফেলা সহ বিসর্জন প্রয়োজন। বিসর্জনের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে, এখন বিদায় আরতি চলছে। এর পর চির তরে বিদায় জানানোর পালা,ঠিক এই ভাবেই আজ রাজ্যের শাসন দল তৃণমূল কে ধুয়ে মুছে দিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
তাঁর আরো অভিযোগ, দিদিমনির এগিয়ে বাংলা বিজ্ঞাপনে এগিয়ে থাকলেও বাস্তবে কিন্তু পিছিয়ে, রাজ্যে কোন শিল্প আসছে না,যে গুলো আছে,একের পর এক বন্ধ হতে চলেছে,তবে হ্যা, দিদিমনির অনুপ্রেরণায় চপ শিল্প, তেলেভাজা শিল্প,এমনকি বোমা শিল্পে যথেষ্ট প্রসার ঘটিয়েছে বাংলা। বিরোধীদের কন্ঠ রোধ করে শুধু গনতন্ত্রকে হত্যাই করেন নি, পুলিশ প্রশাসনকে দলদাসে পরিনত করে রাজ্যের শাসক ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন। আজ দলের নবদ্বীপ বিধানসভার সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে নবদ্বীপে। জগন্নাথ বাবু ছাড়াও সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধার্থ নস্কর।