
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯ মে মধ্যরাতে বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা পুলিশের পুলিশ ট্রেনিং স্কুল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারকে বাঁশপেটা করেন অধঃস্তন কর্মীরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে পথে নেমে বিক্ষোভ সামাল দিতে হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন নগরপাল অনুজ শর্মা। সেইমতো ১৩ জন পুলিশকর্মীকে রাজ্যের পাঁচটি জেলায় বদলি করা হয়েছে। ডিআইজি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) বদলির অর্ডার জারি করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের সামনে কমব্যাট ফোর্স, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা-সহ অন্যান্য ব্যাটেলিয়নের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। ডিসি কমব্যাটের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভরত পুলিশকর্মীরা। ডিসি কমব্যাট নেভেন্দ্র সিং ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে তাঁকে রীতিমতো নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। রাতভর পিটিএস-এর সামনে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছয় লালবাজার পর্যন্ত। পরেরদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ পুলিশকর্মীদের বোঝান। তাঁদের আশ্বস্ত করে শান্ত করেন।এই ঘটনার ২১ দিনের মাথায় মঙ্গলবার রাতে ১৩ জনের বদলির অর্ডার বেরয়। ডিসি কমব্যাট-সহ ১৩ জন বিক্ষোভকারী পুলিশকর্মীকে বদলি করা হয়েছে পাঁচ জেলায়।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি বণিকসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
এই কর্মীদের সকলকেই সুদূর উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়েছে। বদলি হওয়া কনস্টেবলের মধ্যে সাতজন কমব্যাট ফোর্স, চারজন সেকেন্ড ব্যাটেলিয়ন, একজন ফার্স্ট ব্যাটেলিয়নের এবং একজন রিজার্ভ ফোর্স-এ কর্মরত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। মূলত, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-এর মতো জেলাতেই এঁদের পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কমব্যাট ফোর্স-এর ডেপুটি কমিশনার, যাঁর বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হয়েছিল তাঁকে বদলি করা হয়েছে ডিসি ওয়্যারলেস পদে।