এবার রিজেন্ট পার্কে মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখল ছেলে, দেহ উদ্ধার যাদবপুরেও

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অসময়ে একমাত্র প্রিয়জন ছেড়ে চলে গেলে অনেকেই মানতে না পেরে মৃতদেহ আগলে বসে থাকেন। এই ধরনের ঘটনা প্রথম বার প্রকাশ্যে আসে শেক্সপিয়র সরণি থানার রবিনসন স্ট্রিটে। তারপরেও শহরে একাধিক বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এবার ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার দেখা গেল রিজেন্ট পার্ক এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে বাঁশদ্রোণীর রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার বিদ্যাসাগর পার্কে। সেখানেই ছেলের সঙ্গে বাস করতেন ঝর্ণা গাঁতাইত নামের এক বৃদ্ধা। ঝর্ণা গাঁতাইতের বয়স ৭৮ বছর। তাঁর স্বামী নিমাই গাঁতাইতের কয়েক বছর আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর পাড়ার বাকিদের সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তা তাঁদের ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। অনেক ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাননি তিনি। তারপরেই তিনি রিজেন্ট পার্ক থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে অনেকক্ষণ ডাকার পরে ঝর্ণাদেবীর ছেলে দরজা খোলেন। তখনই পুলিশ বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখেন বাথরুমে একটি পচা-গলা মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।
মৃতদেহটি ঝর্ণাদেবীর বলেই জানান তাঁর ছেলে। তারপর দেহটিকে সেখান থেকে তুলে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত করা হবে। তাহলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে কয়েক দিন আগেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। যুবকের কোনও মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একই সঙ্গে যাদবপুরের বিজয়গড়েও একটি ফ্ল্যাট থেকে শ্রীবাস নারায়ণ আদিত্য (৬২) নামে এক বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার হয়। গত আট বছর ধরে তিনি ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। এদিন পচা দুর্গন্ধ পেলে তার বাড়ির দরজা ভেঙে বিছানায় মশারির ভেতরে তার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়ার চেষ্টা চলছে।