করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে নয়া নির্দেশিকা ঘিরে রণক্ষেত্র ইতালি…বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, হাতাহাতি, গ্রেফতার ১৮

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ফের জারি হওয়া বিধিনিষেধকে ঘিরে উত্তাল ইতালি। মানুষ রাজপথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। এই বিক্ষোভের আঁচে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে মিলান, তুরিন, নেপলস। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের পদত্যাগের দাবিও জানিয়ে রাজপথে সোচ্চার হয়েছে তারা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশে সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের খন্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমাও ছোঁড়া হয়। উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসও ছুঁড়তে হয়। বিক্ষোভের নামে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশজুড়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে। এই নির্দেশিকার মধ্যে রয়েছে সন্ধ্যা ৬’টা পর পানশালা, রেস্তোরাঁ, জিম ও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে। নৈশ কার্ফু জারিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই নির্দেশের প্রতিবাদেই সুনামি আকার নিয়েছে। গর্জে উঠেছে মানুষ। তুরিনে কয়েকশো ট্যাক্সি চালক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। একই সময়ে ক্রিমোনা শহরের কেন্দ্রে রেস্তোরাঁ মালিকরা কড়াই সহ রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম ভেঙে প্রতিবাদ জানান। নেপলসের পিয়াজা ডেল প্লেবিসসিতো শহরে বিক্ষোভকারীরা আঞ্চলিক সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলেন।
বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। পুলিশের অভিযোগ, এদিন বিক্ষোভের সময়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েছে চরমপন্থী দল হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বিহারে সম্মুখ সমরে দুই যুযুধান পক্ষ… ১৬টি জেলার ৭১টি আসনে ভোট
উল্লেক্ষ্য করোনা প্রথম ক্ষেত্রে দেশে গা ছাড়া মনোভাবে জন্য উত্তরোত্তরভাবে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। ইতালিতে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আক্রান্ত হন ৫ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষ। এরপরেই করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা লাগাম টানতে চাইছে সরকার।