ঝাড়গ্রামে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ২১শে জুলাই শহিদ মঞ্চে আসাকে কেন্দ্র করে বচসা, মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ঘটনার সামাল দিতে গোপীবল্লভপুরের পুলিশের সিআই গৌতম চক্রবর্ত্তী পৌছালে তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকেও গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ অমিত কুমার ভরত রাঠোর সিআইকে দেখতে হাসপাতাল গিয়েছিলেন। পুলিশ সুপার বলেন “ পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” মঙ্গলবার দুপুরে গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের পেটবিন্দী অঞ্চলের কালিঞ্জা গ্রামে বিজেপি এবং তৃণূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রীতিমত উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। দুই দলই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। এই মারামারির ঘটনায় বিজেপির এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ মোট দুই জন গুরুতর আহত হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপারস্পেশালটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।অন্যদিকে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য সহ মোট দুই জন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।তৃণূলের অভিযোগ এদিন কালিঞ্জা গ্রামে একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মাল্যদানের অনুষ্ঠান ছিল।সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার আগেই তৃণমূলের উপর হামলা চালায় বিজেপি।
গোপীবল্লভপুর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি এবং ব্লক তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি কালীপদ শূর বলেন “ এদিন একুশে জুলাইয়ের পতাকা উত্তোলনের আগেই বিজেপির লোকজন আমাদের দলের কর্মীদের উপর হামলা চালায়।টাঙ্গি,ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।আমাদের এক পঞ্চায়েত সদস্য আশিষ ঘোষ,গোবিন্দ মন্ডল গুরুতর জখম হন।তাদের ঝাড়গ্রাম সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।আর বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। বিজেপির রাজনৈতিক কোন জায়গা নেই।পাতকা উত্তোলন ভন্ডুল করার জন্যই এ কাজ করেছে।বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য কয়েকদিন আগে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।আমরা এই ঘটনায় হামলাকারীদের শাস্তীর দাবি করেছি।”
উল্লেখ্য এদিন বিজেপি ছেড়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সাবিত্রী সিং এবং এক বিজেপির এক শক্তি প্রমুখ তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের ব্লক কার্যনির্বাহী সভাপতি কালিপদ শুর। অন্যদিকে বিজেপির বেলিয়াবেড়া মন্ডল সভাপতি সমিত পাত্র বলেন “ আমাদের কর্মীরা মাঠে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করছিল।আমাদের এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সমির খিলাড়ি এবং জেলার এক কার্যকর্তা স্বপন কুমার কর জমিতে পটল তুলতে গিয়েছিলেন।তাদের উপর কোদাল নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। তারা গুরুতর জখম হয়েছেন।ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।আরো তিনজন গুরুতর জখম হন।এর আগেও এখানে আমাদের এক কর্মী খুন হয়েছিলেন।প্রকৃত দোষী ধরা পড়েনি।আমরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি করছি।”ঝাড়গ্রাম জেলা যুব তৃণমূলের সভপাতি দেবনাথ হাঁসদা এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান।