তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র ও বাইক ফেলে চম্পট দুষ্কৃতির
শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বাড়িতে সশস্ত্র দুস্কৃতী হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে চাঞ্চল্য ছড়ালো আসানসোলের কুলটি থানার মিঠানিতে । কুলটি ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে স্থানীয় হিরন বাউরি নামে এক দুষ্কৃতি এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ । সশস্ত্র অবস্থায় যখন ওই দুষ্কৃতি আচমকাই চিন্তাহরণবাবুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে, তখন ছিলেন চিন্তারহরণবাবুর স্ত্রী, তার ভাই মনোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী।
দুষ্কৃতিকে আটকাতে গিয়ে তিনজনই তার হাতে আক্রান্ত হন। তবে ধস্তাধস্তিতে দুষ্কৃতির বন্দুকটি মাটিতে পড়ে যায়। তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসছে বুঝতে পেরে ওই দুষ্কৃতি মোটরবাইক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেলেই পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় ছুটে। পুলিশ দুষ্কৃতির ফেলে যাওয়া মোটরবাইক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ পলাতক হিরণ বাউরির খোঁজে তল্লাশি করছে।
এই ঘটনা নিয়ে চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভাই মনোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই হিরণ বাউরি বাড়িতে এসেছিল। মনোরঞ্জনের লিজে অ্যাম্বুলেন্স চলে ইসিএলে। সেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ছিল হিরণ। মদ্যপ অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স চালানো, ঠিকমতো ডিউটি না করা ও তেল চুরির অভিযোগে একবছর আগে হিরণকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই রাগ থেকেই খুনের চক্রান্ত করে, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে এসেছিল ভাইকে খুন করতে।
কিন্তু একবছর পরে কেন এই হামলা ? রাজনৈতিক মহলের মতে, চিন্তাহরণ চট্টোপাধ্যায় কুলটির জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা। হিরন বাউরি এলাকায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত । রাজনৈতিক ইন্ধন থেকেও এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনেকের অনুমান । বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।