বিজেপি নেতার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে

মিলন পণ্ডা, খেজুরি (পূর্ব মেদিনীপুর): দলীয় কর্মসূচি থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক বিজেপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে শাসকদল। তারা দাবি করেছেন এই ঘটনার সঙ্গে কোনো ভাবেই যুক্ত নয়।জখম ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ওই বিজেপি কর্মীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরি কলাগেছিয়া এলাকায়। এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর গোটা এলাকায় নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিশাল মাপের জনসভা রয়েছে। জনসভাতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বরা। পাশাপাশি জেলার একাধিক নেত্বয়রা। খেজুরি কলাগেছিয়া ১৩৪ নম্বর বুথের যুব মোর্চার সদস্য সত্যজিৎ দাস। রাতের রামনগরের জনসভা উপলক্ষে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের নিয়ে একটি মিটিং করছিল সত্যজিৎ। দলীয় মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রাতেই অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার ওই বিজেপি কর্মীর উপর আঘাত করে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্বরা। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক স্থানান্তরিত করেন। তারপরে ওই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাঁথি সাংগঠনীক জেলার বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, খেজুরিতে শাসক দলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই বিজেপি কর্মীদের এরকম হামলা চালাচ্ছে। মানুষ এর হিসাব বুঝিয়ে দেবে।
সমন্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা বলেন এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগাযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক’ ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত সত্য প্রকাশ পাবে।খেজুরি থানার ওসি সত্যজিৎ চানক বলেন এই ঘটনার এখনো পর্ষন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।