বিনামূল্যে বাজার আয়োজন করে মানুষের পাশে দাঁড়ালেন কল্যাণীর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি
অভিষেক আচার্য, কল্যাণী: চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজ এই প্যাকেজ নিয়েই দুস্থদের বাড়ি বাড়ি ছুটছেন রাজনৈতিক দলের কর্মী থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য প্রায় সকলেই। কিন্তু শুধু এগুলিতে কী সংসার চলে? মাছ, মাংস না হোক সামান্য সবজি ছাড়া তাঁরা খাবেন কী? সেকথা ভেবে অভিনব ব্যবস্থা নিলেন কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায়। কল্যাণী পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে খুললেন ‘বিনামূল্যের বাজার’। টানা ১০দিন চলবে এই বাজার।
টাকাকড়ি লাগবে না। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা শুধুমাত্র একটি ব্যাগ সঙ্গে আনবেন। ব্যস, তাহলে হবে। বাজারে যেমন পছন্দমতো সবজি কেনেন ঠিক তেমনই ব্যাগ ভরে বাজার করলেন। বিনা খরচে বাজার! খুশি এলাকার বাসিন্দা। কী নেই সেখানে? চা, চিনি, আলু, পটল, বিস্কুট, লবণ, তেল, মশলা, আলু, পিঁয়াজ, ও বিভিন্ন সবজি রয়েছে। আর সবই মিলল বিনামূল্যে। একটি টাকাও খরচ করতে হচ্ছে না। এই লকডাউনের বাজারে আমজনতার রুটিরুজি যেখানে বন্ধ হওয়ার উপক্রম সেখানে বিনা পয়সায় জিনিস পেয়ে কার মুখে না হাসি ফোটে?
প্রায় ১০০০ পরিবার বিনামূল্যে বাজার করছে এখানে। লকডাউনের মধ্যে বিনামূল্যে বাজার চালু করে এই সংকটের সময় নজির গড়েছেন অরূপ মুখোপাধ্যায়। ওই বাজারের আয়োজন করা হয় নদীয়ার কল্যানীর ১নম্বর ওয়ার্ডের অশোক চক্র মাঠে। বাজার পরিদর্শনে যান ১নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান সুশীল কুমার তালুকদার। দুস্থদের সাহায্য করার এই অভিনব উদ্যোগ দেখে তিনি খুশি। । কারণ, লকডাউনের বাজারে ১০০০ পরিবারের হাতে কুড়ি রকমের জিনিস বিনামূল্যে তুলে দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়!
এই বিষয়ে কল্যানী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, কল্যাণীর প্রতিটা ওয়ার্ডে এই বিনামূল্য বাজারের আয়োজন করা হবে। শুধু তাই নয়, শিশুদের জন্যও আলাদা করে দুধ ও বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই কঠিন পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের পাশে রয়েছে। ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানান অরুপবাবু।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিনামূল্যে বাজার আয়োজন হওয়ায় খুশি তাঁরা। কল্যাণী পুরসভার চেয়ারম্যান সুশীল কুমার তালুকদার বলেন, অরূপবাবুর এই উদ্যোগ অভিনব। টানা ১০দিন এই ধরনের বাজার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হবে বলে জানিয়েছেন সুশীলবাবু।