পুরো তৎপরতা সত্ত্বেও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পাড়ায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্ব-পরিবারে হোম কোয়ারেন্টাইনে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: পুর তৎপরতা সত্ত্বেও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের পাড়াতেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিধায়ক থেকে সাংসদ সবাই করোনার নজরে।
বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হবার পর। এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট এর বাসিন্দা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোম করেন্টাইনে গেলেন সপরিবারে। যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক ভিডিওবার্তায় দাবি করেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি সম্পূর্ণ করোনা মুক্ত। টেস্টের জন্য লালা রস সংগ্রহ করা হয়েছে আমি ও আমার পরিবারের। এখনও রিপোর্ট আসেনি।সংবাদমাধ্যমে আমার করোনা আক্রান্ত হওয়ার যে খবর ছড়িয়েছে তা শুধুমাত্র বিজেপির অপপ্রচার। আমি করণায় আক্রান্ত হলে সবথেকে বেশি খুশি হবে বিজেপি।’
সূত্রের খবর বাড়ির দুই নিরাপত্তারক্ষী শরীরে কোন ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। তাই তাদের সংস্পর্শে আসার সুবাদে হোম করেনটাইনে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের এই আইনজীবী সাংসদকে সপরিবারে। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়েই তিনি হোম কারেন্ট আইনে গিয়েছেন। তাঁর বাড়ির করনা আক্রান্ত নিরাপত্তারক্ষীকে ইতিমধ্যেই বাঙ্গুর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীরামপুরের সাংসদ বুধবার তৃণমূল ভবনে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর আক্রান্ত নিরাপত্তারক্ষীদের সংস্পর্শে আসার খবর জানার পর কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মেলন বাতিল করে দেন। এদিন শ্রীরামপুরের সাংসদ এর কালীঘাটের তিনতলার বাড়ি সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনিতেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট প্রায় প্রতিটি বাড়িকে নজর রেখেছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর সম্প্রতি বিহার থেকে কোনো এক ব্যক্তি সংক্রমণ নিয়ে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে আসেন। তারপর একে একে একাধিক ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী পাড়ায় তার আগে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তথা বাসিন্দা তমোনাশ ঘোষ করো না আক্রান্ত হয়ে বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংক্রমণ নিয়ে প্রথম তাকে আলিপুর এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই তৃণমূল বিধায়ক অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিল ছড়া দূরত্বই থাকেন। তমোনাশ ঘোষ দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারি বাস পরিষেবা চালু করতে তাকে যেতে হয়েছিল দুর্গাপুরে। সেখানেই তিনি সংক্রমিত হন বলে জানা গিয়েছে। তাই ওই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকে থার্মাল স্ক্রীনিং করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।