আমফান ক্ষতিপূরণে‘ দুর্নীতি’, কান ধরে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য

অমিতাভ মণ্ডল, রায়দিঘি: আমফানের ক্ষতিপূরণের দাবিতে এবার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হল। সেইসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিডিও ও পুলিশ। আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও বঞ্চনার অভিযোগে বিক্ষোভ অব্যাহত।
সাগরের পর এবার রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি ও নন্দকুমারপুরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিক্ষোভের জেরে রায়দিঘি-বলেরবাজারের কৈলাশপুর হরিণটানা বাজারের কাছে পথ অবরোধ শুরু হয়। বাঁশ দিয়ে অবরোধ করা হয়। সমস্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণের টাকা পান নি। সরকারি তালিকা থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্টে পঞ্চায়েত সদস্য ও শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ অনেকের কোন ক্ষতি হয়নি। এছাড়া নদীর বাঁধ মেরামতি ও একশ দিনের কাজেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন ঘাঁটুকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। সদস্যর একটি বাইকে ভাঙচুর চালায়। সদস্যকে একটি স্কুলে আটকে রাখা হয়। এইসময় পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘিরে ধরে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ও বিডিওর সামনে পঞ্চায়েত সদস্যকে কান ধরিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয় বলেও অভিযোগ। ওই সদস্য বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীদের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। তালিকা ত্রুটিপূর্ণ বলে স্বীকার করে নেন। অবরোধ তুলতে এলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মথুরাপুর-২ ব্লকের বিডিও রিজওয়ান আহমেদ। পরে পুলিশ আসে। অবরোধকারীদের আশ্বাস দিয়ে বিডিও জানান,‘ ক্ষতিগ্রস্থ ছাড়া কেউ টাকা পেয়ে থাকলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা টাকা পাবেন।’