হাথরাসের ঘটনায় রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাল তৃণমূল মহিলা মোর্চা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাথরসের দলিত তরুণী ধর্ষণ-খুনের ঘটনার তোলপাড় দেশ থেকে রাজ্য। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব গোটা দেশ। এরই মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কলকাতাতেও। বুধবার হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামল মহিলা তৃণমূল সর্মথকরা।
এদিন হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল করে মহিলা তৃনমূল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর নেতৃত্বে মিছিল হাঁটেন মহিলা তৃনমূলের কর্মী সমর্থক রা। এই মিছিল শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ধর্ম তলায়। মিছিল শেষে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘নিন্মবর্ণ ও উচ্চবর্ণের মধ্যে যে ফারাক তৈরি করা হচ্ছে, উচ্চবর্ণের যে ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। নিন্মবর্ণ বলে একটা মেয়েকে প্রশাসনের মদতে হত্যা করা হল স্টেস স্পনসার ক্রাইম এটা মনে রাখতে হবে।সমাজে অনেক জায়গায় অন্ধকার আছে সেই অন্ধকারকে আলোকিত করাই প্রশাসনের কাজ, তার বদলে অন্ধকারকে আলো নিবিড় করে দিচ্ছে এটাই বিজেপি সরকার।তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমরা সবাই দলিত আমাদের মধ্যে কোনও বর্ণের ভাগ হয় না।আমাদের মায়েদের কোল স্নেহের রঙ-এ উজ্জিবিত হয়।’
প্রসঙ্গত, দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণের স্মৃতি ফের একবার উস্কে দেয় উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণের ঘটনা। ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানে হাথরস কাণ্ডের গণধর্ষিতা তরুণী। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরস এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি জমিতে মার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। মায়ের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন সে। সেই সময় পিছন থেকে ওই তরুণীকে আক্রমণ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে একটি বাজরা খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায় ও গণধর্ষণ করে। পরে তার মা খুঁজতে গেলে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেন অচৈতন্য অবস্থায়। এরপর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জেএনএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে তার উপর। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। মুখের একাধিক জায়গা, জিভে কামড়ের গভীর ক্ষত। শিরদাঁড়া ও ঘাড় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অসাড় ছিল দুই পা এবং একটি হাত। আইসিইউ-তে রেখে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছিল তাকে বাঁচানোর। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় দিল্লির হাসাপাতালে পাঠানোর, পাঠানোও হয় সেখানে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না ।