করোনা রুখতে নিজেদের এলাকা কনটেনমেন্ট জোন করল এলাকাবাসী

নিজস্ব সংবাদদাতা দিনহাটা: নিজেদের সাবধানতার কথা মাথায় রেখে অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় গাছের গুঁড়ি আবার কেউ কেউ বাঁশ দিয়ে আটকে দিল। এদের মধ্যে ২ জন দিনহাটা পুরসভা এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোসানি রোড এলাকার এবং ৩৬ জন দিনহাটা দুই ব্লকের বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। দিনহাটা শহরের পাশাপাশি মহকুমায় ফের ৩৮ জন করোনা সংক্রমিত হতেই নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেও দিনহাটা শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমিত হয়। পরবর্তীতে এদের দ্বিতীয় পর্যায়ের টেস্টের পর রিপোর্ট নেগেটিভ আশায় স্বস্তি ফেরে প্রশাসনের পাশাপাশি জনমানুষে। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে দিনহাটা দুই ব্লকের গোবরাছড়া নয়ারহাট এলাকায় ৩২ জন ও শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৪ জন এবং দিনহাটা শহরে ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে রবিবার মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ এলাকাগুলি পরিদর্শণে যান। সরকারিভাবে এই এলাকা গুলিতে ইতিমধ্যে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ শুরু হলেও বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়রা নিজেরাই নিজ নিজ এলাকায় বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে লকডাউন শুরু শুরু করেছে।
দিনহাটা শহরের গোসানীরোডে এক বাড়িতে দুই জন করোনা সংক্রমিত হওয়ায় এলাকার ঝুড়িপাড়া মোড় থেকে কেন্দ্রীয় তামাক গবেষনা কেন্দ্র পর্যন্ত রাজ্য সড়ককে কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে বলে মহকুমা শাসক জানান।
[আরও পড়ুন- কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাস্থবিধি উধাও রায়গঞ্জে]
দিনহাটা শহর ও দিনহাটা দুই ব্লকে একসাথে ৩৮ জন করোনা সংক্রমিত হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে নিজেরাই নিজনিজ এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বাইরের মানুষের যাতায়াতে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি যাতে সকলেই মেনে চলে তা নিয়েও তারা নিজের এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন।
দিনহাটা শহরের গোসানিরোড এলাকায় একই বাড়িতে দুই জন করোনা সংক্রমিত হওয়ায় উল্টো দিকেই শহরের নয় নম্বর ওয়ার্ডের গোপালনগর এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই এলাকায় যাতে বাইরের লোক সহজেই ঢুকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে যাতায়াতের সব রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দেয়। বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক পড়া এবং বারেবারে হাত স্যানিটাউজ করার জন্য আবেদন জানানো হয়। এলাকার বাসিন্দারা নিজেরাই নিজ নিজ এলাকায় এভাবে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে বাইরের মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া ছাড়াও নানা ভাবে সচেতনতা শুরু করায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেন, দিনহাটা শহরে দুই জন এবং দিনহাটা দুই ব্লকের দুইটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছে। এই ৩৬ জল পরিযায়ী শ্রমিক কিনা তা দেখা হচ্ছে। যেসব এলাকায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে কনটেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে।