সুন্দরবনকে বাঁচাতে, ইছামতীর পারে বৃক্ষরোপণ গ্রামবাসীদের

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আশারিয়া গ্রাম। আমফান ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা সুন্দরবন জুড়ে, ভেঙে পড়েছিল বড় বড় গাছ, ক্ষতি হয়েছিল গবাদি পশু, তছনছ হয়ে গেছিল গ্রামের বহু ঘরবাড়ি, শ্মশানের চেহারা নিয়ে ছিল গোটা উত্তর ২৪ পরগনা সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
তার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই আশারিয়া গ্রাম। তাই ইছামতী নদীর পারে ভূমিক্ষয় রোধ করতে যেসব গাছ লাগানো ছিল সেগুলো নদীর গর্ভে চলে গেছে। বেশ কিছু মানুষের কাঁচা বাড়িও জলের তলায়। সব মিলিয়ে একবিংশ শতাব্দী বিপর্যয়ের ক্ষতচিহ্ন যেমন একদিকে চিন্তায় রেখেছে, আশারিয়া গ্রামের মানুষকে।
আরও পড়ুন:আজই শেষযাত্রা প্রিয় ‘ছোড়দা’র, কর্মসূচি ঘোষণা করল কংগ্রেস
অন্যদিকে বৃক্ষরোপণ করলে নদীর ভূমিক্ষয়ের রক্ষা করা যাবে সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ইছামতীর পারের বাসিন্দারা। তাই এবার উদ্যোগ নিয়েছে স্বয়ং গ্রামবাসীরা। সুন্দরবনের মেহগুনি, গরান, গেঁওয়া, কেওড়া, হেতাল এইসব বিভিন্ন প্রকারের গাছগুলো নদীর পার বরাবর বসাতে শুরু করেছে গ্রামের মানুষ। একদিকে প্রকৃতকে তুষ্ট করা, অন্যদিকে গ্রামকে বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষরা। স্থানীয় নেতা ও সমাজসেবী শফিকুল গাজি, প্রধান মোস্তফা মণ্ডলের উদ্যোগে প্রায় ১০০০ বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গ্রামবাসীর হাতে যেমন তুলে দিয়েছেন।
অন্যদিকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সেই গাছ নদীর পাড়ে সারিবদ্ধভাবে লাগিয়ে দিয়েছেন। এই কাজে হাত মিলিয়েছে টাকি পৌরসভার প্রাক্তন উপপৌর প্রধান আজিজুল গাজি, গ্রামবাসীদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আগামীদিনে আরও যাতে বেশি করে গাছ রোপণ করে সুন্দরবনকে বাঁচানো যায় সেদিকটাও নজর রেখেছে। পাশাপাশি এইভাবে ইছামতীর নদীর ক্ষয় রোধ করা যায় তাহলে বড় বড় বিপর্যয় আটকে যাবে বলে মনে করছে ইছামতী নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।