
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আজই শেষযাত্রা প্রিয় ‘ছোড়দা’র। অভিভাবককে হারাল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার রাত ২টো নাগাদ সংগঠনের সভাপতি সোমেন মিত্রর প্রয়াণের খবর পেয়ে প্রাথমিকভাবে দিশেহারাই হয়ে গিয়েছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। হাসপাতালে ভিড় করেন তাঁরা। শেষমেশ অবশ্য সেই ধাক্কা সামলে দলের দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান নেতা ‘ছোড়দা’কে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা তৈরি হয়।
প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ন’টায় বেলভিউ হাসপাতাল থেকে সোমেন মিত্রের মরদেহ বের করা হবে। নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর ৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটের বাড়িতে। সেখানে কিছুক্ষণ দেহ রাখার পর প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে প্রয়াত ‘ছোড়দা’কে। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে অমিতাভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে দশটা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে শায়িত রাখা হবে বর্ষীয়ান নেতার দেহ। নেতা, কর্মী, সমর্থকরা এসে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রয়াত নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। বিধান ভবন থেকে দেহ যাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত শিয়ালদহের বিধায়ক ছিলেন সোমেনবাবু। দুপুর একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিধানসভায় রাখা থাকবে সোমেনবাবুর দেহ। সেখান থেকে প্রয়াত নেতার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাঁর আমহার্স্ট স্ট্রিটের পৈতৃক ভিটেয়। তারপর সেখান থেকে নিমতলা শ্মশানে সোমেনবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলার একটা অধ্যায় সমাপ্ত হল’, সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকাহত অধীর চৌধুরী
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল সোমেনবাবুর। তিনি দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিত্সা করাচ্ছিলেন। গত ২১ তারিখ আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পারিবারিক চিকিত্সকের পরামর্শেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয় তাঁর। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এরই মাঝে শনিবার জানা যায় যে, সোমেন মিত্রের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁর কিডনি কাজ করছে না। হৃদস্পন্দনের মাত্রাও কমে গিয়েছে। এরপর বুধবার গভীর রাতে বেলভিউ হাসপাতালে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।