fbpx
আন্তর্জাতিকবাংলাদেশহেডলাইন

আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, শ্রদ্ধায় প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ আজ ২৬ মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, দেশের জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান একই কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন।   দেশের ৫২তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস আজ ২৬ মার্চ।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের উজ্জীবিত হয়েছে স্বাধীনতার ইতিহাস। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয়। কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সংহত করার নতুন শপথে বলীয়ান হওয়ার দিন আজ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের যাত্রাপথ সেই স্বাধীনতা দিবসকে আরও সম্মানিত করেছে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পাশাপাশি স্বাধীন বাংলাদেশের স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর মুজিববর্ষ উদযাপনের পর এবার মহান স্বাধীনতা উদযাপনে যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এর আগে স্বাধীনতার ৫০ বছরে আর একটি নতুন পালক যোগ হয় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ। অনেক প্রাপ্তি নিয়ে এবার স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন ঢাকাসহ সারা দেশে সকালের তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের সমস্ত মানুষ সহ প্রবাসে থাকা সব বাংলাদেশিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি হয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে বিশ্বমানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশে থাকার জন্য সব বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন, সংস্থা ও ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এ দিবসে সব সরকারি, আধা-সরকারি,  বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।  কোস্ট গার্ডের জাহাজসমূহ এদিন দুপুর ২টো হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশিরা দিবসটি উদ্‌যাপন করবেন। বিশ্বব্যাপী চলা করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপনে এবার স্বতঃস্ফূর্ততা বেশি থাকবে।

Related Articles

Back to top button
Close