আজ মহালয়ার পূণ্যলগ্নে দেবীপক্ষের সূচনা, ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: আজ মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনা। ভোরে আকাশবাণীতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোস্ত্র পাঠ দিয়ে পূণ্যলগ্নের সূচনা। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা এবং দেবীর প্রশস্তি। শারদীয় দুর্গাপুজোর গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ হল এই মহালয়া। পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপুজোর দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই প্রতীক্ষা মায়ের পুজোর। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপুজোর মাধ্যমে দুর্গাপুজো শুরু। তবে মায়ের আগমনধবনি শুরু আজ থেকেই।
পুরাণমতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে, এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন।
সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার এই সমাবেশকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি।
ঘাটে ঘাটে চলছে পিতৃতর্পণ। করোনা আবহ কাটিয়ে প্রত্যেক ঘাটেই থিক থিকে ভিড়। রাত থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন ঘাটগুলিতে।
কলকাতা, হাওড়া সহ জেলাগুলি যেমন মালদা, শিলিগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর প্রতিটি জেলায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে চলছে তর্পণ। বাবুঘাটের সেই চেনা ছবি ধরা পড়েছে। ভোরবেলা থেকেই প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। বাগবাজার ঘাট, হাওড়ার চাঁদমারির ঘাটে চলছে তর্পণ। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই শিলিগুড়ির মহানন্দার লালমোহন ঘাটে তর্পণ করতে ভিড় জমিয়েছেন প্রচুর মানুষ।