যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা আবহেই ফের উত্তপ্ত হল উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে ফের শুরু হল সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ। নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হল এক শীর্ষ লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদীর। পাশাপাশি প্রাণ গিয়েছে আরও এক সন্ত্রাসবাদীর। জানা গিয়েছে, মৃত সন্ত্রাসবাদী ক্যাটেগরি এ-র সন্ত্রাসবাদী। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃত লস্কর সন্ত্রাসবাদী বেশ কয়েক বছর ধরে সক্রিয় ছিল এবং বহু নাশকতার ঘটনায় তার হাত ছিল।
সোমবার গোপন সূত্রে সন্ত্রাসবাদীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে মীরওয়ানি গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কুলগামের মঞ্জগ্রামে অভিযান চালায় ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ ও পুলিশ বাহিনী। তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসবাদীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করলে পালটা গুলি চালান জওয়ানরা। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র গুলি বিনিময় হয়। গুলিতে খতম করা হয় দুই সন্ত্রাসবাদীকে। গোটা এলাকা ঘিরে রয়েছে বাহিনী। আর কোনও সন্ত্রাসবাদী লুকিয়ে রয়েছে কি না, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, গতকালই কাশ্মীরের বদগাঁওতে পুলিশ এবং ভারতীয় সেনার ৫৩ আরআর ইউনিট লস্করের প্রধান সহযোগী ওয়াসিম গনিকে গ্রেফতার করেছে সেনা৷ ওয়াসিম ছাড়াও তার তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর৷ ধৃতরা জঙ্গিদের বিভিন্ন রকম সাজ সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করার পাশাপাশি তাদের আশ্রয়ও দিত। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা ধৃতদের কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলা- বারুদ সহ অন্যান্য বেশ কিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে৷
জানা গিয়েছে, ধৃত চারজনের নাম ওয়াসিম গনি, ফারুক আহমেদ দার, মহম্মদ ইয়াসিন এবং আজহারুদ্দিন মীর৷ এরা প্রত্যেকেই কন্ডুরা বীরবাহ এলাকার বাসিন্দা৷ জানা গিয়েছে, গত ১৬ মে বদগাঁও-এর আরিজল খানসেব এলাকায় একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে৷ সেখান থেকেই লস্কর-ই-তৈবার সহযোগী জহুর ওয়ানি সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷