fbpx
দেশপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

২০২১ এর ট্রাম কার্ড হতে পারেন রাজ্যের ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবার

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস : পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েই রাজ্যের রাজনৈতিক চালচিত্র বদলে দেওয়া সম্ভব,এ মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অপ্রত্যাশিত সুযোগ রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সামনে।হিসাব করে খেলতে পারলেই বাজিমাৎ।

 

 

এই মুহূর্তে বাংলার রাজনৈতিক ভাগ্য পরিবর্তনের ট্রাম কার্ড হতে চলেছে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদেরা। ঠিকভাবে বুঝে পদক্ষেপ নিতে পারলেই, কেল্লাফতে। দীর্ঘ টানাপোড়েন সহ কেন্দ্র-রাজ্য চাপান উতোরে বিদ্ধস্থ পরিযায়ী শ্রমিক সহ তাদের পরিবারবর্গ। অবমাননা, অদূরদর্শিত,পরিকল্পনাহীন কর্মসূচি, কেন্দ্র-রাজ্যের প্রতি একাধিক অভিযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রলেপ লাগিয়ে পরিত্রাণ পাওয়া ও সম্ভব,এ অভিমত বিশেষজ্ঞদের। ক্ষোভ-আক্ষেপ, অভিমান যেমন ছিল, এবং আছে পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা ও সম্ভব। শুধু প্রয়োজন, পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঠে নেমে পড়া। সব রাজনৈতিক দল চেষ্টা শুরু করে দিলেও পরিস্থিতি মোকাবেলার এই মুহূর্তে ভারতীয় জনতা পার্টি কয়েক কদম এগিয়ে আছে।

 

দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি উপলব্ধি করেই তৎপর হয়ে উঠেছেন। অমিত শাহজী দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে,পি,নাড্ডার সঙ্গে এ বিষয়ে একপ্রস্থ আলোচনা ও সেরে ফেলেছেন এবং সেমতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ ও সব রাজ্যের দলীয় নেতৃত্বের দপ্তরে পৌঁছে গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকতে,প্রয়োজনে প্রতিটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের পাশে অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খুলে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী সহ নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র পৌঁছে দিতে হবে। জলের বোতল, ব্রাশপেস্ট, সাবান, গামছা, চপ্পল যা কিছু প্রয়োজন, দ্রুততার সঙ্গে সরবরাহ করতে হবে। বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে পরিবার বর্গের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের সহযোগিতার জন্য দলকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে নির্দেশ ও এসে গেছে।

Related Articles

Back to top button
Close