দলীয় বিধায়কের ওপর হেনস্থার জের, গলসীতে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচী স্থগিত রাখল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: বিধায়ককে হেনস্থার জের। বঙ্গধ্বনি কর্মসূচী স্থগিত রেখে প্রতিকী প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। আর ওই ঘটনাকে ঘিরে আবারও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ঘটনায় নিন্দার পাশাপাশি কটাক্ষ করেছে বিজেপি। ঘটনাটি ঘটেছে পুর্ব বর্ধমানের গলসী-১ নং ব্লকে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিগত ১০ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ হয়েছে। ওই কার্ড সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বঙ্গধ্বনি যাত্রা শুরু করেছে তৃণমূল। আর ওই বঙ্গধ্বনি যাত্রায় ডাক না পাওয়া নিয়ে তৃৃৃৃণমূলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার দুপুর নাগাদ বুদবুদে বিডিও অফিসে চাষীদের ধান বিক্রি নিয়ে মিটিং ছিল। তাতে যোগ দিয়েছিলেন গলসীর বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি। মিটিং সেরে বেরিয়ে আসতে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দলীয় কর্মসুচীতে তাদের ডাকা হচ্ছে না। সেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে নীচুতলার তৃণমূলকর্মীরা। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বুদবুদ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি। মঙ্গলবার তৃণমূলের
গলসী-১ নং ব্লক সভাপতি জনার্দ্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন,” বঙ্গধ্বনির গাইড লাইন যারা দিয়েছেন। তাদের জানিয়েছি। সবই চেনা মুখ। সিসিটিভির ফুটেজে আছে। সোমবার বিকাল থেকে আপতত বঙ্গধ্বনি কর্মসূচী স্থগিত রেখেছি।” তিনি আরও বলেন,” নিরাপত্তারক্ষী থাকার পরও যেভাবে একজন বিধায়ককে হেনস্থা হতে হল। এরপর কোন মহিলা নেত্রীর ওপর একই ঘটনা ঘটলে তার নিরাপত্তা কিভাবে দেব? আবারও নতুন করে গাইড লাইন দেওয়ার পর বঙ্গধ্বনি যাত্রার কর্মসূচী নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে বিধায়কের ওপর হেনস্থার ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করে বিজেপির পুর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা জানান,” নিজের দলের কর্মীদের দ্বারা হেনস্থা হতে হচ্ছে একজন বিধায়ককে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, বর্তমান রাজ্য সরকারের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে।” যদিও তৃণমূলের পুর্ব বর্ধমান জেলা চেয়ারম্যান মমতাজ সঙ্ঘমিতা জানান,” ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”