বানভাসি ওয়ার্ড পরিদর্শনে তৃণমূল জেলা সভাপতি! পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাম বোর্ডকেই দায়ি করলেন

কৃষ্ণা দাস, শিলিগুড়ি: পাহাড় সহ সমতলে গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে শিলিগুড়ির বিস্তির্ণ এলাকা। জল বেড়েছে শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট বড়ো নদীগুলিতেও। ফলত, নদীবাধ ও নদী সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারি সাধারণ মানুষরা পড়েছে চরম সমস্যায়। ঘরে জল ঢুকে যাওয়া থেকে শুরু করে, নদী গর্ভে ঘর ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অন্যদিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ। এই দুই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। গত দুদিনের সেই বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ির বেশ কিছু অঞ্চলে নদীরজল ঢুকে যায়। ঘরবাড়িও ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতু, রাস্তা ও রেললাইনের। তারই মাঝে শিলিগুড়ির ২নম্বর ওয়ার্ডের মানুষরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে। সেই সমস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে বুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা নদীর বাঁধ ও এলাকার সাধারণ মানুষদের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার।
এই করোনা আবহে বানভাসি পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর গোটা পরিস্থিতির দায়ভার বাম পরিচালিত পুর বোর্ড ও বর্তমান প্রশাসক মন্ডিলির কাধেই চাপালেন রঞ্জন বাবু। পাশাপাশি দলগতভাবে সহ রাজ্য সরকারের তরফে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিন তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ আচমকাই মহানন্দা নদীর জল বৃদ্ধি পেয়ে বেশ কিছু অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১নম্বার ওয়ার্ডের পাতি কলোনীর বেলি ব্রীজটারও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২নম্বার ওয়ার্ডের বেশ কিছু অঞ্চল কন্টাইনমেন্ট জোনের মধ্য রয়েছে। তার মধ্যে এই প্রকৃতিক দূর্যোগেও পুরনিগম কিংবা ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর থেকে কোমোরকম সহযোগিতা স্থানীয়রা পায় নি বলে তার অভিযোগ। অনেকে তার কাছে অভিযোগ করছে ত্রিপল পায় নি। এমনকি খাদ্য সংকটের সমস্যাও রয়েছে। তিনি জানান দলগতভাবে আপাতত কিছু ব্যবস্থা করা হলো। তবে তার অভিযোগ, পুরনিগমের আপৎকালিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার কোন ব্যবস্থা নেই। স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকলে এই দূর্যোগগুলি মোকাবিলা করা খুবই দুষ্কর।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটা বড়ো বাধের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু তাৎক্ষনিক ভাবে পুরনিগমের পক্ষ থেকে যেটা করা উচিৎ ছিল তা এখনও করা হয় নি। সেই সঙ্গে তিনি দাবী করেন পুরনিগমের বাম ওয়ার্ডগুলির তুলনায় তৃণমূলের ওয়ার্ডগুলির উন্নয়ন অনেক বেশি। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রশ্নে রঞ্জন বাবু বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেফহোমই একমাত্র সংক্রমন রোধে শেষ রাস্তা। আরও বেশি করে সেফহোম তৈরি করতে হবে। তার বক্তব্য, সেফ হোম করার বিষয়ে প্রশাসক মন্ডলিই ঠিক করেছিল ইনডোর স্টেডিয়ামকে সেফহোম করতে৷ কিন্তু তার অভিযোগ, তাদের নিজেদের মধ্যে ঝগড়ায় সেই সেফহোম ঠিক হচ্ছে না। প্রশাসক মন্ডলির ঝগড়ায় মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না।