মৃত্যুতেও থেমে নেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত আরামবাগ
গোপাল রায়, আরামবাগ: আবারও আরামবাগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল শনিবার। গত বৃহস্পতিবার আরামবাগের হরিণখোলার ঘোলতাজপুরে তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বোমাবাজিতে জেরে খুন হন তৃণমূল কর্মী ইসরাইল খান ওরফে চন্দন (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তৃণমূলের এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়। শনিবার গোষ্ঠী কোন্দলের খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর হয়।
মোটরসাইকেল গ্যাস সিলিন্ডার, টাকা সোনা, গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে তৃণমূলের এক গোষ্ঠী ওই এলাকায় ঢুকে তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করা হয় পাঁচটি বাড়ি, মোটরবাইক। আলুর বন্ড, টাকা গ্যাস সিলিন্ডার, সোনার গয়না লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় আরামবাগ থানার পুলিশ। এলাকায় শনিবার বেলা পর্যন্ত দেখা যায় চাপা উত্তেজনা। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
ঘটনা সূত্রপাত, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে হরিণখোলা পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা লাল্টু খাঁ ও জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমানের ভাই প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব।
লাল্টু খাঁয়ের অভিযোগ পারভেজ তাঁর লোকজন নিয়ে ঘোললতাজ পুর এলাকায় এসে তাঁর অনুগামীদের উপর আক্রমণ চালায়। চলে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি এমনকী কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় পারভেজের লোকজন যার গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় ইসরাইল খান তরফে চন্দন নামে এক ব্যক্তির।
এই বিষয়ে পারভেজ রহমানের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। খুনের ঘটনায় ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের শনিবার আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।