
অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে আটকে গেল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। শুক্রবার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ানের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল হাথরাসের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে।
কিন্তু পুলিশ আগে থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল। সে কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়। গ্রামের কাছাকাছি এলেই পুলিশ গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। এদিন ও বৃহস্পতিবারের পুনরাবৃত্তি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধক্কি হয় তৃণমূল সাংসদদের। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকেও নিশানা করেন তিনি।
এদিন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পুরমন্ত্রী বলেন, “মেরে ফেলে দেওয়া, কেটে ফেলে দেওয়া এটাই বিজেপির চরিত্র। বিচারের বাণী এখানে নীরবে নিভৃতে কাঁদছে। প্রশাসনের যদি কিছু ভুল না হয়ে থাকে, তাহলে বারবার প্রশাসনের তরফ থেকে আটকানো হচ্ছে কেন? মানুষ এটার উত্তর দেবে”।
এরপরেই রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “এই সময় রাজ্যপাল কেন এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলছেন না? আজ তো তাঁর চোখ দিয়ে জল পড়ছে না”। এদিন রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে এই একই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের আরও এক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, মমতা বালা ঠাকুর হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে জাচ্ছিলেন। নির্যাতিতার বাড়ি থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে আটকে দেওয়া হয় তাদের। এর পর সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দের। ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কে। সেখানেই ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাদের আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানান হয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের তরফে।