ত্রিপুরা রাজনৈতিক পর্যটন কেন্দ্র! তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের বিস্তারকে ‘রাজনৈতিক পর্যটন’ বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি ত্রিপুরায় শক্তি বাড়াতে মরিয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলা থেকে প্রায় দিন সংগঠনের বিস্তারে সে রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন বহু নেতা। রাজনৈতিক স্বার্থে তৃণমূলের এই ভিড় বাড়ানোকে মোটেই ভাল চোখে নিচ্ছেন না শুভেন্দু। তাই এবার অকপটে এর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
শুধু তাই নয়, বিজেপির আরও দাবি, ত্রিপুরায় স্থানীয়দের সমর্থন নেই তৃণমূলের সঙ্গে। তাই বাংলা থেকে নেতার পাশপাশি দলীয় কর্মীদের নিয়ে গিয়ে সভায় ভিড় জমাতে মরিয়া এ রাজ্যের শাসক দল। পাশপাশি শুভেন্দুর আরও দাবি, সেখানে হাজির করানো হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে নাম থাকা তৃণমূল নেতাকেও। এ নিয়ে টুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।সোশাল মিডিয়ায় তিনি বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তাঁকে চিহ্নিত করেন।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভে ডায়মন্ড হারবারের সরিষার শামিম আহমেদকে দেখা যাচ্ছে। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তাঁর নাম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেছেন ত্রিপুরাবাসী, তাই তৃণমূলের দাগীরা আপাতত রাজনৈতিক পর্যটনের মাধ্যমে সে রাজ্যে ভিড় বাড়াবে।’
উল্লেখ্য,শনিবার করোনা কালে আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভায় প্রথমে অনুমতি দেয় পুলিশ প্রশাসন। পরে বেশি জনসমাগম হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই সভার স্থান বদলের নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় তৃণমূলের সভাস্থল আস্তাবল মাঠে সরিয়ে নিতে হবে। শেষ মুহূর্তে পুলিশের এই নির্দেশ ঘিরে তৃণমূল শিবিরের চরম অসন্তোষ দানা বাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচালে বিজেপি সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করে ঘাস-ফুল শিবির। মঞ্চ খুলতে গেলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। রবীন্দ্রভবনের সামনেই অবস্থানে বসেন দলের কর্মী, নেতারা। সেখানেই শামিম আহমেদ ছিলেন বলে ছবিতে তুলে ধরেছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।