ফেল টালবাহানা, এবার হোয়াইট হাউস ছাড়তে নয়া শর্ত দিলেন ট্রাম্প

ওয়াশিংটন: ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য মার্কিন জেনারেল সার্ভিসেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশকে (জিএসএ) অনুমতি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তারপরেও পরাজয় স্বীকার করতে হননি তিনি। হোয়াইট হাউস ছাড়ার জন্য বেঁধে দিয়েছেন শর্ত। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইলেক্টরাল কলেজ যদি জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে, তবেই হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তিনি। যতদিন না সেটা হচ্ছে, আইনি লড়াই তিনি ছাড়বেন না।
নির্বাচনে ভরাডুবির পর বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম কথা বলেন ট্রাম্প। সেখানে প্রশ্ন ওঠে, ইলেক্টোরাল কলেজ জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করলে ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়বেন কি না? উত্তরে ট্রাম্প জানান, ‘হেরে গেলে অবশ্যই হোয়াইট হাউস ছাড়ব। আপনারা তা জানেন। তবে আমার মনে হয় জানুয়ারির ২০ তারিখ পর্যন্ত অনেক কিছু ঘটবে। আমরা তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির মতো হয়ে গিয়েছি। নির্বাচনে আমরা এমন কম্পিউটার ব্যবহার করছি যেগুলি হ্যাক করা যায়।’ এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প, অভিযোগের সুরে তিনি বলেছেন, ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘এই নির্বাচনে বিস্তর কারচুপি হয়েছে। আমি অনেক বেশি ভোটে জয়ী হতাম। এবং আমি অনেক বেশি ভোট পেয়েছি। কিন্তু সেই খবর এখনও প্রকাশ করা হয়নি।’ একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ‘বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করলে বড় ভুল করবে ইলেক্টোরাল কলেজ।’
কিন্তু কোনও প্রমাণ ছাড়া বার বার কারচুপির অভিযোগ তোলা কতটা যুক্তিযুক্তি? এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নে চটে যান ট্রাম্প। ওই সাংবাদিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ ভাবে কথা বলবেন না আমার সঙ্গে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আমি। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কখনও এ ভাবে কথা বলবেন না।’’ উল্লেখ্য, আমেরিকানরা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। ৫০টির রাজ্যের মধ্যে ৪৮টি রাজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, যে বেশি ভোট পেয়েছে তার খাতায় চলে যাবে সেই রাজ্যেই ইলেকটরা। এই ইলেকটররা মিলেই ইলেক্টোরাল কলেজ তৈরি করে। সাধারণত এই প্রক্রিয়াটি নেহাতই নিয়মরক্ষার হয়। মানে যিনি বেশি ভোট পেয়েছেন তাঁকেই মনোনীত করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইলেকটররা।
অর্থাৎ, ইলেক্টোরাল কলেজে যাঁকে জয়ী ঘোষণা করবে তিনিই হবেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই প্রক্রিয়াকেই এখন কিছু করে রুখতে চাইছেন ট্রাম্প। ছোটোখাটো অসঙ্গতিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে একের পর এক আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইলেকটররা যাতে প্রথামতো কাজ না করে, সেই প্রচেষ্টাও চলছে।