আরমবাগে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগে আটক ১১ মহিলা সহ ১২
নিজস্ব প্রতিবেদক, আরামবাগ: করোনায় মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ গুলোকে পুড়িয়ে দেওয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর সেই আগাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত দেহগুলি কে পোড়ানোর সুবিধার জন্য আরামবাগ থানার অন্তর্গত পল্লীশ্রী ব্রিজের নিচে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ এলাকায় মাটি খোঁড়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মাটি খোড়ার কাজ দেখে খবর ছড়িয়ে পরতেই গ্রামের মানুষ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মাটি খুরতে বাঁধা দেয় প্রশাসনকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও বিক্ষোভ অবরোধ আরামবাগে। ব্যাপক উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও প্রশাসনের কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহ গুলিকে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে নদীর বাঁধ এলাকায় । মঙ্গলবার সকালে প্রশাসনের তরফ থেকে দারকেশ্বর নদীর পাড়ে চলছিল প্রস্তুতি কাজ। ওই সময় এলাকার বাসিন্দারা প্রস্তুতি কাজ চলছে দেখে ঘটনাস্থলে গ্রামের লোকজন হাজির হয়। আরামবাগ তারকেশ্বর রোডের পল্লীশ্রী মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েক ঘন্টা ধরে পথ অবরোধ করে রাখে। পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা । তাদের দাবি এই নদীর জলেই আমাদের চাষ করতে হয়, এই নদীর জলে কাপড় কাচা থেকে আরম্ভ করে স্নান করা সবই করতে হয়। ফলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতদেহগুলি এখানে পুড়িয়ে দিলে তার কাঠকয়লা, জামা, কাপড় তা সবই এই নদীর জলে পরবে এমনকি পোড়ানার সময় দুর্গন্ধ ছড়াবে। তাঁতে ছোট থেকে বড় সবাই করোনায় আক্রান্ত হতে পারে । এই নিয়ে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাজে বাধা দেয়। পুলিশের সাথে বচসা শুরু হতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরও পুলিশ বাহিনী এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, আগে থেকেই আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কাজ চলছিল। এলাকাবাসীরা বাধা দেয়ার ফলে মাটি খোঁড়ার কাজ বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। তবে কিছু ক্ষনের জন্য ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও বেশ কিছু সময় পর পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধ বাঁধে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোব দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় ১১মহিলা সহ মোট বারো জন কে আটক করে আরামবাগ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা পুলিশ সহ ৫জন আক্রান্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।