গণধর্ষণের শিকার বারো বছরের স্কুল ছাত্রী, গ্রেফতার তিন

মিলন পণ্ডা, পটাশপুর (পূর্ব মেদিনীপুর): গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তপ্ত মেদিনীপুর। এই জঘন্য ঘটনার শিকার বারো বছরের স্কুল ছাএী। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তা থেকে এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা।
রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার খাড় এলাকায়। অভিযুক্তরা হল পটাশপুরে উওর খাড়ের সঞ্জিত মাইতি, সাধলাপুরে সব্রত মণ্ডল ও রতনপুরে রঞ্জিত দাস। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি গণধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাএীকে গোপন জবানবন্দির জন্য হাজির করে পটাশপুর থানার পুলিশ। ধৃত তিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৭৬ (ডি), ১২০ বি, ও পক্সো আইনের মামলার রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:সম্পর্কে নারাজ পরিবার, পর্ণশ্রীতে একই শাড়ির ফাঁসে আত্মঘাতী নববিবাহিত যুগল
সূএের খবর, সোমবার দুপুরে টিউশান পড়ে বাড়ি ফিরছিল ওই বারো বছরের স্কুল ছাএী। তখনই রাস্তার একা পেয়ে পথ আটকায় তিন যুবক বলে অভিযোগ। স্কুল ছাএীর মুখে চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপরে নবনির্মিত মুরগী পোল্ট্রির ফার্মে পাশে ওই বারো বছরের স্কুল ছাত্রীকে একের পর এক ধর্ষণ করে তিন অভিযুক্ত। নারকীয় অত্যাচারে বারো বছরের স্কুল ছাএী অচৈনত্য হয়ে পড়ে। সেখানেই ছাএীকে ফেলে চম্পট দেয় তিন অভিযুক্ত। দীর্ঘক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় নির্যাতিতা। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দ্রুত বিষয়টি পটাশপুর থানার পুলিশকে জানায় নির্যাতিতার পরিবার। বিকালে ধর্ষিতা ছাএী পটাশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তের নেমে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার বেগতিক বুঝে এলাকায় ছেড়ে আত্মগোপন করে আরও দুই অভিযুক্ত। মোবাইল ফোনে টাওয়ার লোকেশানের সূত্র ধরে গভীর রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে অপর দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু জানাতে রাজী হয়নি। ধর্ষিতার স্কুলছাএীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।