আদালতের নির্দেশ সত্বেও নিয়োগপত্র না পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে প্রাথমিক শিক্ষক পদের দুই চাকুরী প্রার্থী

সুকুমার রঞ্জন সরকার, কুমারগ্রাম: উচ্চ আদালতের নির্দেশ সত্বেও আজও নিয়োগ পত্র না পেয়ে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হলেন প্রাথমিক শিক্ষক পদের দুই চাকুরী প্রার্থী। পাপ্পু সাহা ও ইন্দ্রজিৎ সাহা দুজনে হাতে ব্যানার নিয়ে কুমারগ্রাম ব্লকের বারবিশা সুভাষ পল্লীতে নিজেদের বাড়ির সামনে মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রতীকী প্রতিবাদে শুরু করেছেন। উদ্দেশ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তারা দুজনেই জানান ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে টেট পরীক্ষা হয়েছিল সেই পরীক্ষায় সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েও পর্ষদের প্রশ্নপত্রের ভুলের জন্য তারা উত্তীর্ণ হতে পারেনন। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এরকম ১৭৭ জন প্রার্থী ছিলেন যারা প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষন প্রাপ্ত। এরা সম্মিলিত ভাবে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর হাই কোর্ট নির্দেশ জারী করে এই ১৭৭ জন প্রার্থীর উত্তর পত্র নতুন করে মুল্যায়ন করে ফলাফল ঘোষনা করে উত্তীর্নদের তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ করতে। সেই নির্দেশ মোতাবেক সরকার তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ করতে না পারায় চাকুরী প্রার্থীরা পুনরায় ২০১৯ সালে হাই কোর্টে সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি ফলাফল ঘোষনা করে। এই ফলাফলে ১৭৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩০ জনকে উত্তীর্ণ দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: নবদ্বীপে বিজেপির বর্ণাঢ্য বাইক র্যালি
২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর উত্তীর্ণ ১৩০ জনের ডক্যুমেন্টস ভেরিফিকেশন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি উত্তীর্ণ ১৩০ জনের মধ্যে ওবিসি এ ক্যাটিগরি ভুক্ত ৩৭ জনের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বাকীদের এখনও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি বা নিয়োগ পত্র দেবার ব্যবস্থা হয়নি।
প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল দুই যুবক বলেন, শিক্ষক শিক্ষন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত হয়ে আদালতের নির্দেশ সত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তাদের নিয়োগ না করায় তারা চরম হতাশায় বেকারত্বের জ্বালা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের দাবি সরকার তাদের দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করে বেকারত্বের যন্ত্রনা থেকে তাদের মুক্তি দিক।