তৃণমূলের হাই ভোল্টেজ বৈঠকে অনুপস্থিত মৌসম বেনজির নূর সহ দুই নেতৃত্ব, জল্পনা শুরু

মিল্টন পাল, মালদা: দল না ছাড়লেও শুভেন্দুর মন্ত্রীত্ব থেকে পদ ত্যাগের পর রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বৈঠকের মধ্যে অনুপস্থিত জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর সহ জেলার দুই নেতৃত্ব। আর এই অনুপস্থিতিকে ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।
তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারি মন্ত্রীত্ব পদ থেকে পদ ত্যাগের পরই মালদা জেলার আট নেতৃত্বকে ডেকে পাঠায় তৃণমূল নেতৃত্ব কলকাতায়। শনিবার বিকেল ৪টে থেকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের অফিসে বৈঠক ডাকে। সেখানে মালদা জেলার তিন কো-অডিনেটর দুলাল সরকার, অম্লান ভাদুড়ী, মানব ব্যানার্জী,মালদা জেলা পরিষদের সভাধীপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল,মৌসম বেনজির নুর,প্রাক্তন কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী,সাবিত্রী মিত্র ও চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। সেখানে ওই বৈঠকে এদিন দুলাল সরকার, গৌড় চন্দ্র মন্ডল, মোয়াজ্জেম হোসন,অম্লান ভাদুড়ী ও কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী উপস্থিত রয়েছে। বাকি তিনজন উপস্থিত হয় নি।স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
২০১৯ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন মৌসম।শুভেন্দু অধিকারী তার জন্য একাধিক সভা করেছিলেন যদিও ভোটে পরাজিত হন তিনি জয়ী হন বিজেপির খগেন মুর্মু। শুভেন্দু অধিকারীর সাথে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।শুক্রবার পর্যন্ত তার বৈঠকে যোগদানের কথা ছিল। এমন কি তিনি রাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। কিন্তু রহস্যজনক ভাবে তিনি শনিবারের বৈঠকে যোগদান করেননি।
নেত্রীর আত্ম সহায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা টেলিফোনে জানান রাতে জ্বর হয়ে যাওয়ায় বৈঠকে যেতে পারেননি। এর পিছনে অন্য কারণ নেই। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। হঠাৎই বৈঠকে না যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জেলার পর্যবেক্ষক থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া। তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছে বৈঠকে মৌসমের অনুপস্থিত নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।পাশাপাশি অসুস্থতার কারণে সাবিত্রী মিত্র বৈঠকে যোগ দেননি। খোঁজ নেই অম্লান ভাদুড়ী ও মানব ব্যানার্জীর।
মৌসম নুরের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেন তিনি বৈঠকে যাননি এ নিয়ে তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। যদিও তার আপ্ত সহায়ক তথা তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মা বলেন, রাতে হঠাৎ জ্বর এসে যাওয়ার কারণেই মৌসম নুর যেতে পারেননি এর মধ্যে অন্য কিছু নেই। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুমলা আগোরয়ালা বলেন,মৌসম নুরের হঠাৎ জ্বর আসায় তিনি শনিবার করোনা টেষ্ট করান। সে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে জানিয়েছে। মানব বন্দোপাধ্যায়ের মায়ের শাররীক অসুস্থতার কারণে উপস্থিত ছিল না। সাবিত্রী মিত্রর সঙ্গে তার সঙ্গে কথা হয়নি। এর পেছনে অন্য কোন কারন নেই।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বৈঠক। কে বৈঠকে গেলেন না গেলেন তা দলের ব্যাপার। তবে একটা জিনিস পরিস্কার ২০২১এ বিধান সভার ভোটের আগে তাসের ঘরের মত ভেঙে পরবে তৃণমূল কংগ্রেস।