বেআইনিভাবে কয়লা তুলতে গিয়ে চাপা পড়ে এক মহিলা সহ দুজনের মৃত্যু

শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল: বেআইনিভাবে ইসিএলের কয়লাখনি এলাকায় কয়লা তুলতে গিয়ে কয়লার মধ্যে চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের মধ্যে একজন মহিলাও আছে বলে এলাকার বাসিন্দারা দাবি করেছেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা থমথমে ও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
শনিবার ভোররাতের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি থানার ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার ভাটাস কোলিয়ারির গৌরান্ডি খোলামুখ কয়লাখনি এলাকায়। মৃত দুজনের বাড়ি বারাবনি থানার গৌরান্ডির ছাতাডাঙ্গা এলাকায়। যদিও এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ, প্রশাসন ও ইসিএলের আধিকারিকরা বলেন, আমাদের এই ব্যাপারে কিছু জানা নেই।
গৌরান্ডি খোলামুখ কয়লাখনিতে ডিউটিরত কেন্দ্র সরকারের নিরাপত্তা সংস্থার এক আধিকারিক এদিন দাবি করে বলেন, প্রতিদিনই এখানে বেআইনিভাবে কয়লা তোলা হয়। শুক্রবার রাতে সেইরকম ভাবেই কয়লা তোলার জন্য খনিতে নেমেছিলেন বেশ কিছু মানুষ। কিন্তু আচমকাই খনিতে ধস নামে। তাতে কয়লার মধ্যে চাপা পড়ে যায় এক পুরুষ ও এক মহিলা। খনিতেই তাদের মৃত্যু হয়। শনিবার ভোর রাতের দিকে তাদের মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া ঐ নিরাপত্তা আধিকারিক আরো দাবি করে বলেন, বেশকিছু রাজনৈতিক নেতা , পুলিশ ও ইসিএলের আধিকারিকদের যোগসাজশে প্রতিদিন চলে এই বেআইনি কয়লা তোলার কাজ। বিষয়টি সবাই জানলেও কেউ বন্ধ করার কোন চেষ্টা করেন না। মৃত দুজনের বাড়ির এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গোটা এলাকা একবারে শুনশান। এলাকায় রয়েছে থমথমে পরিবেশ। মুখে কুলুপ এঁটেছেন মৃতদের বাড়ির লোকেরজনেরও । জানা গেছে, ছাতাডাঙ্গা থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে রুণাকুড়াঘাট এলাকায় অজয় নদীর ধারে দুটি দেহ সৎকার করা হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার ব্যাপারে, বারাবনির বিডিও সুরজিৎ ঘোষ ও ইসিএলের সালানপুর এরিয়ার জিএম অমিত নন্দী বলেন, কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো। বারাবনি থানার পুলিশও জানায়, খবর জানা নেই ।