শরণানন্দ দাস, কলকাতা: শ্রাবণ যাই যাই করছে। আকাশের রং বদলাচ্ছে। পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভাসছেও নীল আকাশে। যদিও মাঝে মাঝেই মেঘের আনাগোনা তাল কাটছে। যেমন করোনার জোরালো ব্যাটিংয়ে চিন্তার মেঘ পুজোর উদ্যোক্তা থেকে কুমোরটুলি সর্বত্র।
রবিবার নমো নমো করেই খুঁটি পুজো হল শহরের দুই নামি পুজোর। কিন্তু সেই উচ্ছ্বাস, আনন্দটাই নেই। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, শ্রীভুমি স্পোর্টিং ক্লাবের খুঁটি পুজোয় এবার সেই জাঁকজমক নেই। করোনা সংক্রমণ এখনও যেহারে বাড়ছে তাতে পুজোর সময় সব স্বাভাবিক হবে এমনটা কেউ ভাবছেন না। বরং সবার চিন্তা কিভাবে করোনার স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো করা যায়। বাঙালির জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব। আনন্দ, উচ্ছ্বাস, বাঁধ ভাঙার ভিড়তো হবেই। সেক্ষেত্রে কীভাবে নামি পুজোর উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি সামলাবেন?
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ও শ্রীভূমির দুই পুজোর উদ্যোক্তারা জানালেন তাঁরা ‘ ভার্চুয়াল’ পুজোর কথা ভাবছেন। অর্থাৎ ঘরে বসেই দেবী দর্শন থেকে অঞ্জলি সবটুকুই করার ভাবনা তাঁদের। শ্রীভূমির প্রধান উদ্যোক্তা মন্ত্রী সুজিত বসু নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
তিনি বলেন, ‘ আমরা ভার্চুয়াল প্রতিমা দর্শন থেকে অঞ্জলি সব ব্যবস্থা রাখছি। আর দর্শকরা এলে যাতে দূরত্ব বিধি, স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে পালন করা হয় সেটাও দেখবেন স্বেচ্ছাসেবকরা।’ সব মিলিয়ে বাঙালির সেরা উৎসবের আবেগটাই হয়তো এবার থাকবে না।