রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেন! যুদ্ধ থামাতে পুতিনকে ফোন ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ’র

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ করোনার আবহ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের শুরু যুদ্ধ। রাশিয়া আগ্রাসী আক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। ইউক্রেন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের সমস্ত নাগরিককে অস্ত্র তুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।জেলেনস্কির তরফ থেকে বার বার পুতিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। রাশিয়ার সামরিক আক্রমণ শুরুর পর বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা করেন তিনি।
জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ হামলা নাৎসি আক্রমণের মতোই। ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদ জানাতে রাশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জনগণের মাঝে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ইউক্রেনের এই নেতা দেশটির গণমাধ্যমকে তথ্য সঠিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির সামরিক বাহিনী কতটা দৃঢ়ভাবে রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তা তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। শত্রুরা গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং এই ক্ষতি আরও বাড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার অন্তত ৫০ ‘দখলদার’ সৈন্যকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ শহরের কাছের একটি সড়কে রাশিয়ার চারটি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া লুহানস্ক অঞ্চলের শহরে ৫০ রুশ সৈন্যকে হত্যা এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলের রাশিয়ার ষষ্ঠ একটি বিমান নামানো হয়েছে। ক্রামতোর্স্ক জেলায় রাশিয়ার আরেকটি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। এটি নিয়ে ছয়টি বিমান ধ্বংস করা হয়েছে। তবে সামরিক বাহিনীর বিমান এবং সাঁজোয়া যান ইউক্রেনের সৈন্যরা ধ্বংস করেছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্দরনগরী ওডেসার বাইরের পোডিলস্ক শহরে সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটে রাশিয়ার বোমা হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। এছাড়া বোমা হামলার পর থেকে পোডিলস্কে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৯ জন। মারিউপোল শহরে বোমা হামলায় আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের পুলিশ জানিয়েছে।
এই অবস্থায় পুতিনকে সরাসরি ফোন করে যুদ্ধ থামানোর প্রস্তাব দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ। তিনি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কথয় কান দিচ্ছে না পুতিন। তার পরেই তিনি এই ফোন করেন। তবে দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে, তা এখনও কিছু জানাননি তিনি।