অপহরণ করতে না পেরে সামনে থেকে গুলি নিকিতাকে, অভিযুক্তের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসাজশ!

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণের চেস্টা ব্যর্থ হওয়ায় সামনে থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এক তরুণীকে। এবার অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসূত্র পাওয়া গেল। ফরিদাবাদের বল্লভগড় থানার মিল্ক প্লান্ট রোডে অপহরনের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করা হয় এক তরুণীকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় পুরো ঘটনা। বি কম তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী নিকিতা তোমরকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিল দুই যুবক। সেই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর এক বান্ধবীও ছিল। দেখা গিয়েছিল যে, হঠাৎ করেই একটি সাদা গাড়ি এসে নিকিতা নামে ওই তরুণীর সামনে দাঁড়ায়। তারপর গাড়ি থেকে দুই যুবক নেমে এসে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করে। কিন্তু কোনওভাবেই তারা নিকিতাকে গাড়িতে তুলতে না পেরে গুলি করে দুই যুবক। নিকিতার বান্ধবী গিয়ে দেখে যে, সে মাটিতে পড়ে রয়েছে।
ঘটনায় উঠে আসে লাভ জিহাদের তথ্য। হিন্দু যুবতীকে গুলি করে হত্যা করা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মহম্মদ তৌফিক নামে অভিযুক্ত ওই যুবক নিকিতার ধর্ম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। তবে নিকিতা রাজি না হওয়ায় তাকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভজোগ ওঠে। নিকিতা তৌফিকের হত্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
[আরও পড়ুন- ফের সাফল্য নিরাপত্তাবাহিনীর, জম্মু-কাশ্মীরে খতম ২ জঙ্গি]
এর মধ্যে মহম্মদ তৌসিফ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে মহম্মদ তৌসিফের পরিবার কংগ্রেস পার্টির সাথে জড়িত। মেওয়াতের নুহের কংগ্রেস বিধায়ক আফতাব আহমেদ অভিযুক্ত তৌসিফের চাচা বলে জানা যাচ্ছে। শুধু এই নয়, কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী খুরশিদ আহমেদ নিকিতার খুনির খুড়তুতো দাদু।
মৃতার দাদা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন। উনি বলেছেন যে পুরো পলিটিক্যাল প্রেসার আছে। যদি আমি ন্যায় বিচার না পাই তাহলে দাদা হয়ে বেঁচে লাভ নেই। এখানেই মরে যাবো নাহলে অপরাধীদের গুলি করে জেলে যাব। নিকিতার দাদা বলেন, পুলিশ FIR তে লাভ জিহাদ, ধৰ্ম পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় গুলি উল্লেখ করেনি।
জানা গিয়েছে যে, দুই বছর আগে নিকিতাকে আরও একবার অপহরনের চেষ্টা করেছিল একই যুবক। নিকিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হইয়। কিন্তু শেষমেশ অভিযোগ প্রত্যাহার করেন নিকিতার বাবা। সেইসময় এই ঘটনায় পুলিশগ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। নিকিতার বাবা জানিয়েছে যে, সেইসময় অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে মেয়েকে প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হতনা।