লকডাউন! অনূর্ধ্ব ১৭ টিম ইন্ডিয়ার গোলকিপার অদ্রিজার সাহায্যে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী
শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: এবার ভারতীয় মহিলা দলের অনূর্ধ্ব সতেরো গোলকিপার অদ্রিজা কে সাহায্যে এগিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভারতীয় মহিলা ফুটবলের অনূর্ধ্ব ১৭ দলের অন্যতম প্রধান গোলকিপার আসানসোলের রুপনারায়নপুরের মহাবীর কলোনির বাসিন্দা অদ্রিজা সরখেল লকডাউনের কারণে চরম সমস্যায় পড়েছেন। লক ডাউনের সময় মাঠে
নেমে অনুশীলন করা যাবে না। তাই সে অনলাইনে পরামর্শ নিয়ে নিজেকে তৈরী রাখছে। কিন্তু, একজন প্রথমসারীর ফুটবলারকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে যে ভিটামিন ও খাবারের প্রয়োজন, তা অদ্রিজা পাচ্ছিলো না। তাই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সমস্যার কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসকে বিষয়টি দেখতে বলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ক্রীড়া মন্ত্রীর নির্দেশে শনিবার অদ্রিজার মামাবাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি । মেয়র তার হাতে তিন মাসের রেশন ফল, শুকনো খাবার বা ড্রাইফুড, হরলিকস্ সহ অন্যান্য জিনিস তুলে দেন। একইসঙ্গে তাকে ১১ হাজার টাকার আর্থিক অনুদানও মেয়র দেন। মেয়র বলেন, অদ্রিজা সরখেল সমস্যায় আছেন। তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোটা বিষয়টি দেখার জন্য রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসকে বলেন। তারপরই এদিন আমাকে তার বাড়িতে পাঠানো হয় । অদ্রিজা আমাদের বাড়ির মেয়ে। সে শুধু আসানসোলের নয়, গোটা বাংলার গৌরবের। সে গোটা দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছে। আমি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। তার কোচের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার বেশ ভালো লেগেছে। ভবিষ্যতে অদ্রিজার যা প্রয়োজন হবে, তা আমরা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
প্রসঙ্গতঃ, আদপে ইস্পাতনগরী বার্ণপুরের বাসিন্দা অদ্রিজা ছোট থেকেই রুপনারায়নপুরে মামাবাড়িতে থাকে। তার মা ও বাবা অন্য ভাইবোনেদের নিয়ে বার্নপুরে থাকে। সে চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতির পড়ুয়া।
অদ্রিজা এই মুহুর্তে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের এক নম্বর গোলকিপার। তুরস্ক থেকে খেলে বাড়িতে আসার পরে, লক ডাউনে সে আটকে যায়। চলতি বছরে ২ নভেম্বর মহিলা ফুটবলের বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কথা ।
অদ্রিজা জানায়, লক ডাউনের জন্য অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাহায্য পাবো, তা ভাবিনি। সত্যি ভালো লাগছে।