পুলিশের কড়া নজরদারিতে প্রতিমা নিরঞ্জন… থাকবে না শোভাযাত্রা, নিষিদ্ধ ডিজে
২৪টি মূল ঘাট-সহ মোট ৩০টি ঘাটে বিসর্জন, মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিনে পর আজ সেই দশমী। চোখের জলে আজ বিদায় নেবেন মা। আজ পুত্র কন্যাদের নিয়ে উমার কৈলাসে গমনের দিন। সকাল থেকেই মণ্ডপ থেকে বাড়ির পুজোগুলিতে বিষাদের সুর। আবার আরও একটা বছরের অপেক্ষা। এবার করোনা আবহে পুজোর আনন্দ ম্লান হলেও মানুষ সচেতনতার সঙ্গে এই পুজোর চারদিন নিজের মতো করে আনন্দ করেছে। কোথাও কোথাও অবশ্য ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। প্রত্যেকবারের মতো এবার থাকছে পুলিশের কড়া নজরদারি। তবে এবারে যেহেতু করোনা খাঁড়া তাই আরও বেশি নজরদারি চলবে বিসর্জন নিয়ে।
প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে পুলিশ বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এবারের পুজোয় বিসর্জনের শোভাযাত্রা করে যাওয় যাবে না। নিষিদ্ধ ডিজে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা সরাসরি চলে যাবে ঘাটে। প্রদীপ হাতে নিয়ে লাইন দিয়ে যাবে না পাড়ার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। নিষিদ্ধ শোভাযাত্রা। প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে নির্ধারিত দিন ও সময় মেনে, এমনই নির্দেশ পুলিশের। পুজো আগেই পুজো কমিটিগুলিকে বিসর্জন সম্পর্কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের আওতায় ২৪টি মূল ঘাট-সহ মোট ৩০টি ঘাটে বিসর্জন দেওয়া যায়। মূল ঘাটগুলির মধ্যে রাজাবাগান, নাদিয়াল, গার্ডেনরিচ এলাকায় একটি করে, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় তিনটি ও উত্তর বন্দর এলাকায় ১৮টিতে বিসর্জন দেওয়া যায়। এ ছাড়াও রয়েছে ছ’টি ছোট ঘাট, সেখানও দেওয়া যেতে পারে বিসর্জন। শহরের নির্ধারিত কোনও সরোবর বা পুকুরেও বিসর্জন দেওয়া যাবে না।
পুজো উদ্যোক্তারা যাতে কোনও শোভাযাত্রা না করেন, সেদিকে নজর থাকবে পুলিশের। খুব কম সংখ্যক পুজো কমিটির সদস্য মালবাহী গাড়ির সঙ্গে বিসর্জন ঘাটে যেতে পারবেন। দশমীর দুপুর থেকেই প্রত্যেকটি ঘাটে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ নিয়োগ করা হচ্ছে।
৩০টি ঘাটেই মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত সংখ্যক ডিএমজি কর্মী ও ডুবুরিরা। প্রত্যেকটি ঘাটে থাকবে নৌকা। প্রয়োজনে স্থানীয় মাঝিদের সাহায্য নেওয়া হবে।