
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘ দুবছর ধরে চলেছে করোনার বাতাবরণ। সংক্রমণ থেকে মৃত্যু সবই মানুষের মধ্যে অজানা ভয় ধরিয়েছে। এখনও যে করোনা বিদায় নিয়েছে এমন কিছু নয়। চিকিৎসকেরা সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন, সামাজিকবিধি মেনে চলার জন্য। তার পরে বিগত কয়েকদিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে দগ্ধ হয়েছে। তার পরে একটু স্বস্তি মিলেছে রাজ্যে। আর এই আবহাওয়ার চড়াই-উৎরাই নতুন করে শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। এক অজানা জ্বর বাসা বাঁধছে মানুষের শরীরে। কিন্তু এই সবের মধ্যেও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্সই’-এর জীবাণু চোখ রাঙাচ্ছে। যদিও এ রাজ্যে এখনও এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসটি ঢোকেনি। কিন্তু চিন্তা একটা থেকেই যাচ্ছে।
প্রায় প্রতিটা ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। জ্বরের মাত্রা ১০২ থেকে ১০৫ পর্যন্ত হচ্ছে। আবার কারও ক্ষেত্রে জ্বরের মাত্রা ১০০ বা ৯৯ থাকছে। কিন্তু সেই সঙ্গে গায়ে হাত পায়ে ব্যথা। সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। জ্বর তিন থেকে চার দিন থাকছে। জ্বর কমে গেলেও সর্দি কাশি থেকে যাচ্ছে। শারীরিক দূর্বলতা থাকছে। তবে জ্বর হলেই ভয় ধরাচ্ছে করোনা আতঙ্ক। জ্বরেও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। গলা ব্যথা থাকছে। রিপোর্ট করালেও নেগেটিভ আসছে।
তবে ডাক্তারদের মতে আবহাওয়ার বদলের জন্যই এই জ্বর হচ্ছে। ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়াও নয় এই জ্বর। ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ থাকছে রোগীর শরীরে। ডাক্তারদের মতে বাইরে অতিরিক্ত গরম। বাড়ি ফিরেই অনেকে এসি চালিয়ে দিচ্ছেন। বা বাইরে থেকে ফিরেই ফ্রিজের জল খেয়ে নিচ্ছেন। এতে ঠান্ডা-গরম লেগে যাচ্ছে। তার ফলেই এই জ্বর হচ্ছে। আপাতত এই জ্বর নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ এখনও এই জ্বরে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে করাতে হবে করোনা টেস্ট।