বিতর্কিত গোলান মালভূমিতে পম্পেওর সফর আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, কড়া প্রতিক্রিয়া আরবলীগের

রিয়াধ ও দামাস্কাস, ২০ নভেম্বর: জর্ডন নদীর পশ্চিম তীর ও অধিকৃত গোলান মালভূমিতে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পেওর সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব লীগ ও সিরিয়া। এক বিবৃতিতে প্রকাশ করে আরব লীগ জানিয়েছে, ‘এই ঘটনা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইজরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমিতে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রীর সফর নিন্দনীয়। ট্রাম্প প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পম্পেও মধ্যপ্রাচ্যে একটি উসকানিমূলক পদক্ষেপ নিলেন, যা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ সিরিয়ার এই ক্ষোভের পিছনে কারণ, ১৯৬৭ সালের আরব-ইজরাইল যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমির একাংশ, জর্ডান নদীর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম আল-কুদস দখল করে নেয় ইজরায়েল, যা আজও আন্তর্জাতিক আইনে দখলীকৃত ভূমি হিসেবে চিহ্নিত। রাষ্ট্রপুঞ্জ এখন পর্যন্ত এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।
তারপরেও, গত সাত দশক ধরে সব মার্কিন সরকার তেল আভিবকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনও মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী গোলান মালভূমি সফর করেননি। কিন্তু, বৃহস্পতিবার মাইক পম্পেও সেই ঐতিহ্য ভেঙে গোলান মালভূমি পরিদর্শন করেন এবং নজিরবিহীনভাবে পশ্চিম তীরের একটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে যাত্রাবিরতি করেন। এপ্রসঙ্গে, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাওয়ি বলেছেন, ‘একটি অবৈধ নজির স্থাপনের লক্ষ্যে পম্পেও এ সফর করেছেন। ইজরায়েলের হাতে চুরি হওয়া ফিলিস্তিনি ভূমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছেন পম্পেও এবং এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন।’