মালদা মেডিকেল হাসপাতাল চত্ত্বরে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ব্যবহৃত পিপিই কিট, প্রশ্নের মুখে কর্তৃপক্ষ

মিল্টন পাল, মালদা: জেলায় প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এরই মধ্যে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ব্যবহৃত পিপিই কিট। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশ পথে ব্যবহৃত পিপিই পড়ে রয়েছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রিন্সিপ্যাল ঘটনা খতিয়ে দেখার আস্বিস দিয়েছে। আর এই পিপিই নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী চাপান-উতোর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৮৬৭জন। সুস্থ হয়েছে ৪১৮৭জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৮জনের। আর এরই মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে কখনো ফুল লকডাউন আবার কখনও অংশিক তো সাপ্তাহিক লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সেপ্টেম্বর মাস থেকে ধীরে ধীরে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সচেতন নয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
যেখানে স্বাস্থ্য দফতর থেকে বার বার বলা হয়েছে ব্যবহৃত পিপিই কিট ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে নষ্ট করা। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ হলেও তার কোনও বালাই নেই। যার ফলে খোদ মেডিক্যাল কলেজের চত্ত্বরে যত্রতত্র পরে রয়েছে ব্যবহৃত পিপিই কিট। আর এই নিয়ে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। চিকিৎসা করতে আশা রোগীর আত্মীয় অনুপ সিং এর অভিযোগ, হাসপাতালে সাফাই কর্মীদের একাংশ প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। তারাই যত্রতত্র এই পিপিই কিট গুলিকে হাসপাতাল চত্ত্বরে ফেলে যাচ্ছে। এর থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যার ফলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। ভ্রুক্ষেপ নেয় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। ব্যবহৃত পিপিই নির্দিষ্টস্থানে ফেলে পুড়িয়ে দেওয়া উচিত।
মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে ডেস্ট্রয় করার হয়। মেডিক্যালে যারা ক্লিন করতে তাদেরকে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন পড়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজের দায়িত্ব নির্দিষ্ট একটি সংস্থার রয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা তা দেখা হবে।
পুরো ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির মালদা জেলার সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ইংরেজবাজার পুরসভা, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর এই বিষয়ে উদাসীন। এই ভাবে পিপি পড়ে থাকলে সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ইংরেজবাজার পৌরসভার উদাসীনতার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। পৌরসভার ও মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের অবিলম্বে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
ঘটনা শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিল সদস্য দুলাল সরকার বলেন এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল আমরা তা পরিস্কার করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে জিঞ্জাসা করব কেন সেগুলি পড়ে রয়েছে। সরকার এর জন্য টাকা দেয়। যে এজেন্সিকে কাজ দিয়েছে তারা এধরনের কাজ কেন করছে, আমরা কর্তৃ সঙ্গে কথা বলে পরিস্কারের জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।