
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশ থাকছে বিজেপি’র হাতেই, এমনটাই বলছে সি ভোটার সমীক্ষা। গতকাল শেষ হয় উত্তরপ্রদেশের সপ্তম দফা, শেষ দফার ভোট। প্রায় সকলের নজর ছিল বারাণসী কেন্দ্রটির দিকে। কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র। কাজেই হাইভোল্টেজ ভোটের দিকেই নজর গোটা রাজ্যের মানুষের। ভারতের উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনের পর্যায়ক্রমিক ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। আগামী ১০ মার্চ ভোটগণনা।
‘এক্সিট পোল’ (বুথ ফেরত ভোটারের ওপর সমীক্ষা) অনুযায়ী উত্তর প্রদেশ এবারও বিজেপির হাতে থাকার আভাস পাওয়া গেছে। রাজ্যের ৪০৩টির মধ্যে ২৩২টি আসন পেতে পারে তারা যা আগের চেয়ে কম। এদিকে ফল ঘোষণার প্রাক্কালে বিধায়কদের দলত্যাগ ঠেকাতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস দল। অন্তত চার রাজ্যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের পাঠানো হয়েছে স্থানীয় আইনপ্রণেতাদের হাতে রাখতে।
উত্তর প্রদেশের শেষ দফার নির্বাচনে গতকাল সবার নজর ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী এলাকা বারাণসীর দিকে। শেষ দফা গতকাল ৫৪টি আসনে ভোট হয়।
গতবার বিজেপি ও এর মিত্র দলগুলো বারাণসীর পুরো এলাকা দখলে নেয়। এ এলাকার আটটির মধ্যে ছয়টি আসনই দখল করে বিজেপি। বাকি দুটিও দখলে নেয় বিজেপি মিত্র অনুপ্রিয়া প্যাটেলের আপনা দল ও ওম প্রকাশ রাজভারের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি (এসবিএসপি)। গত ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন এমএলএ। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দলটি। তাই দলত্যাগ ঠেকাতে এবার নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে কংগ্রেস। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত মাসে পাঞ্জাব, গোয়া, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরে রাজ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের পাঠানো হয়েছে। সোমবার সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জোট গঠনে এই নেতারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা করতে কৌশলগত বৈঠক করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
২০১৭ সালে গোয়ার নির্বাচনে এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে পারেনি কংগ্রেস। এবার সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি এড়াতে চায় দলটি। গোয়ার পাশাপাশি পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড ও মণিপুরেও ‘মিশন এমএলএ’ বাস্তবায়ন করেছে কংগ্রেস। এই চার রাজ্যের মধ্যে অন্তত দুটিতে জয়ের আশা করছে দলটি।