বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত পেলেই করোনার ভ্যাকসিন পাবেন ভারতীয়, লালকেল্লা থেকে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
ডিজিটাল হেলথ মিশন ঘোষণা নমোর
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারির আবহের মধ্যেই আজ গোটা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস। শনিবার দিল্লির লালকেল্লায় ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, এই মুহূর্তে ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। আর বিজ্ঞানীদের সবুজ সংকেত মিললেই, তা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। মোদি আশাবাদী, করোনার এই সংকট কোনওভাবেই ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
এর পাশাপাশি ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই প্রকল্পের ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপ্লব আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই হেলথ মিশন সম্পূর্ণ ভাবে প্রযুক্তি নির্ভর হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পের অধীনে সব ভারতবাসীকে একটি করে হেলথ আইডি কার্ড দেওয়া হবে। সেই কার্ডে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যাবতীয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব ভারতীয়ের একটি করে হেলথ আইডি কার্ড থাকবে। এর ফলে যতবার আপনি কোনও ডাক্তারের কাছে বা ফার্মেসিতে যাবেন, আপনার সব তথ্য ওই কার্ডে জমা হয়ে যাবে। আপনি কোন ডাক্তার দেখাচ্ছেন বা কী ওষুধ খাচ্ছেন, যাবতীয় তথ্য ওই কার্ডে জমা থাকবে।’
আরও পড়ুন: ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার অধীনে এই ন্যাশনাল ডিজিটাল হেলথ মিশন দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবাকে অনেকটাই উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে সব ভারতীয় একটি করে হেলথ কার্ড পাবেন, এই কার্ডে তাঁর প্রেসক্রিপশন, ডায়গনস্টিক রিপোর্ট, ডিসচার্জ সামারি-সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জমা থাকবে। তবে এই কার্ড থেকে তথ্য পাচার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না বলে দাবি করা হয়েছে। কারণ কোনও ব্যক্তি যে চিকিত্সককে তাঁর কার্ড অ্যাকসেস করতে দেবেন, তিনি একবারই মাত্র তা অ্যাকসেস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বড়সড় সাফল্য সেনার, উপত্যকা থেকে ধৃত ২ জইশ জঙ্গি
এই কার্ডের ফলে টেলি-কনসালটেশন এবং ই-ফার্মেসির সুবিধে আরও সহজে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতের ইমপ্লিমেন্টিং এজেন্সি ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি এই প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করেছে। অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট, উভয় মাধ্যমেই এটি পাওয়া যাবে। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে আশা করা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য ৪৭০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তবে এর জন্য আরও ৪০০ কোটি টাকা লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।