একটানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, দিনহাটা: একটানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ল । রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত এক টানা বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়কের বিশেষ করে হাসপাতাল মোড়,ফুলদীঘি সংলগ্ন শহীদ কর্নার, শীতলাবাড়ি, পশু হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা, গোপালনগর এলাকা, বোর্ডিং পাড়া ছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার উপর হাটু জল দাঁড়িয়ে পড়ে।
বেশ কয়েকটি বাড়িতে জল ঢুকে যায়। প্রতিবারই বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে পড়লেও নিষ্কাশনের সুষ্ঠ ব্যবস্থা আজও গড়ে না ওঠায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। পাশাপাশি বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকেও প্রতিবছর বর্ষায় বাসিন্দাদের কে জলমগ্ন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবিলম্বে মাস্টার প্ল্যান গড়ে তোলার দাবি তোলা হয়েছে।
শহরের বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়া ছাড়াও অনেকের বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে । ছোটখাটো ড্রেন তৈরি হলেও বৃষ্টির জল নদীতে ফেলার স্থায়ী কোন সমাধান না হওয়ায় আর কতদিন তাদের এভাবে ভুগতে হবে তানিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন দিনহাটা শহরের জল নিষ্কাশনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিপূর্বে দলের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তার পরেও আজও কোন সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি । ফের এ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।বিজেপি নেতা সুদেব কর্মকার বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাস্টার প্ল্যান করে জল নিষ্কাশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
তৃণমূল নেতা দিনহাটা পুরসভার কোঅর্ডিনেটর গৌরীশংকর মাহেশ্বরী বলেন, দিনহাটা পুরসভায় ইতিপূর্বে বামেরা পুরসভার ক্ষমতায় থাকলেও জল নিষ্কাশনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। পুরসভার ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে আসার পর নানারকম উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি মাস্টার প্ল্যান গড়ে তোলার জন্য পুর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। বৃষ্টিতে শহরের কোথাও কোথাও জল দাঁড়িয়ে পড়লেও অল্প সময়ের মধ্যেই সেই জলে নামতে শুরু করে। পুর প্রশাসক বিধায়ক উদয়ন গুহ বাইরে থাকায় তার নির্দেশে পুরসভার কো-অর্ডিনেটর জয়দীপ ঘোষকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে তাকে রিপোর্ট দেন। কোথাও ড্রেনের মুখ আটকে পড়লে পুরসভার কর্মীরা সেই জল বের করার চেষ্টা করেন।