ইচ্ছামতী জল ছাপিয়ে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, নষ্ট হচ্ছে ফসল, দুর্ভোগে গ্রামের মানুষ

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর ব্লকের চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নোনা জলে প্লাবিত হয়। চারঘাট, দিয়ারা টিপিঘাট,এই সমস্ত গ্রামগুলো। সেইসঙ্গে এক হাজার বিঘা জমির বিভিন্ন বর্ষাকালীন সবজির ফসল নষ্ট হয়, প্রতিবছর নদীর নোনা জলের জল চিত্র। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। স্থানীয় গ্রামবাসী দাবি জানাচ্ছেন, পদ্মা, যমুনা নদীর জল ছাপিয়ে ইচ্ছামতী নদীতে পড়ে,আর ইচ্ছামতী দীর্ঘ দিনের সংস্কার না হওয়া নাব্যতা হারিয়েছে। যার ফলে সেই জল বাঁধ ছাপিয়ে গ্রাম পর গ্রাম প্লাবিত হয়। প্রায় হাজার বিঘা জমির ফসল নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটা প্রতিবছরই দেখা যায়, বর্ষাকালীন সবজি কাকরোল, পটল ,উচ্ছে ,পেঁপে কাঁচালঙ্কা বর্ষার রবি শস্য নষ্ট হয়ে জমিতেই পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে বর্ষাকালীন রবি শস্য পচন ধরেছে, কৃষক শান্তিময় হামলার ও সাদেক মন্ডল জানান যমুনার জিরো পয়েন্ট থেকে পদ্মার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত নদী সংস্কার না হলে এই সমস্যা থেকে যাবে। তারপরে ইছামতির নাব্যতা হারিয়েছে সেটাও সংস্কার করতে হবে, না হলে এই সমস্যা মিটবে না, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। ১ সেপ্টেম্বর খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেখতে যান,সেখানে গিয়ে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন দূরত্ব ২০০ মিটার বাইপাস খাল করে গ্রাম্য চাষের নোনা জল নিকাশি ব্যবস্থা করা হবে, এটা চাষী ও গ্রামবাসীদের কাছে দীর্ঘদিনের সমস্যা।
আরও পড়ুন: অগ্নিমূল্য বাজার, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাস্তায় বিজেপি
নদীর সংস্কার না হওয়ার ফলে প্রতিবছর এই মানুষের নোনাজল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় কয়েক হাজার গ্রামবাসীকে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হন গ্রামের কৃষকরা। একেতো আমফান ঝড়ের বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তারপর কোনরকমে জমিতে চাষযোগ্য করে ফসল ফলানোর চেষ্টা করছে চাষীরা যেটুকু ফসল হয়েছিল সেটাও নদীর নোনা জলে সবটাই নষ্ট হয়ে গেছে এখন চাষিদের মাথায় হাত।