যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: পর ৭০ বছর কেটে গেছে। তবু একটা পাকা রাস্তা নেই। বছরের বাকি সময় কোনওমতে মেঠো পথ পেরিয়ে অন্ধ্র–ওডিশা সীমান্তের এই গ্রামে পৌঁছন বাসিন্দারা। কিন্তু বর্ষাকালে রাস্তা বলে আর কিছু থাকে না। পুরোটাই জলের নীচে।
দশকের পর দশক প্রশাসনের দরজায় ঘুরেছেন বাসিন্দারা। বহু সাংসদ, বিধায়ক এসেছেন। চলে গেছেন। তবু ভিজিয়ানাগ্রাম জেলার চিন্তামালা গ্রামে পৌঁছনোর রাস্তা তৈরি হয়নি। ছোট্ট এই গ্রাম থেকে নিকটস্থ সাগুমারির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। তার পর সেখান থেকে সদর যাওয়ার পাকা সড়ক রয়েছে। এই পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে এগিয়ে আসেনি অন্ধ্র সরকার। তাই প্রশাসনের ওপর আর ভরসা রাখেননি গ্রামবাসী। ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার পথে নিজেরাই এগিয়ে গেলেন। আদিবাসী গ্রামের ১৫০টি ঘর চাঁদা তুলে শুরু করেন রাস্তা তৈরির কাজ।
প্রত্যেক পরিবার এজন্য ২০০০ টাকা করে চাঁদা দিলেন। আরও এদিক ওদিক থেকে অনুদান সংগ্রহ করে ১০ লক্ষ টাকা জোগার হয়েছে। এই অনুদানের টাকা দিতে নিজেদের ফসল বেচেছেন। কেউ আবার জমি বন্ধক রেখেছেন। গ্রামের বাসিন্দা সিএইচ রাজু জানালেন, ‘রাস্তা তৈরির জন্য ৮০০০ টাকা দিয়েছি। নিজের জমিতে উৎপন্ন ধান আর ভুট্টা বিক্রি করে দিয়েছি।’