fbpx
আন্তর্জাতিকহেডলাইন

ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের জেরে ঘরছাড়া কয়েক হাজার মানুষ

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশে জেগে উঠল একটি আগ্নেয়গিরি। কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ে ঢেকে যায় স্থানীয় অঞ্চল। চার কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত আকাশ ধোঁয়া ও ছাইয়ের ফলে কালো হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকার ২৮ গ্রামের ৩ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত মাউন্ট ইলি লেওতোলোক  নামে সক্রিয় ওই আগ্নেয়গিরি টি জেগে ওঠার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। এর মাঝেই রবিবার ভোরে আচমকা প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান ওই আগ্নেয়গিরির আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। চারিদিকে ভূমিকম্পের মতো দুলুনি শুরু হয়। আতঙ্কে সবাই বাইরে এসে দেখেন আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে ক্রমাগত লাভা স্রোত নির্গত হচ্ছে ও গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। প্রায় চার কিলোমিটার উপরে উঠে যায় তা। এরপরই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে আগ্নেয়গিরি সংলগ্ন ২৮টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষকে ৪ কিলোমিটার দূরের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনার ভয়ে কাছের একটি বিমানবন্দরের পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ লিহান জানিয়েছেন, তিনি এই অগ্নুৎপাত শুরু হতে দেখেন। তারপর স্থানীয় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাঁরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু অনেকের অন্যত্র চলে যাওয়ার মতো অর্থ অনেকের কাছেই ছিল না। স্বস্তির বিষয় হলো, অগ্নুৎপাতের ফলে কেউ মারা যাননি বা আহত হননি।

আরও পড়ুন: দেব দীপাবলিতে অংশ নিতে বারাণসী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ার ১২০টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে ১৭ হাজার ৭৯০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট ইলি লেওতোলোক নামক ওই আগ্নেয়গিরিটি ২০১৭ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে। কিছুদিন ধরে রাতে সেখান থেকে ধোঁয়াও বেরতে দেখেন স্থানীয় মানুষ। তবে রবিবারের ঘটনার জন্য কেউই তৈরি ছিল না। এখন কাছাকাছি থাকা সুমাত্রা দ্বীপের সিনাবুং ও জাভা দ্বীপের মেরাপি নামে আরও দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি কবে অগ্নুৎপাত ঘটায় তার চিন্তায় আতঙ্কিত ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব প্রান্তের মানুষ।

 

Related Articles

Back to top button
Close