‘আমরা দিল্লি অবধি চমকাতে পারি’: দিলীপ ঘোষ

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: “গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, দুর্নীতিমুক্ত, হিংসামুক্ত প্রশাসন সারা ভারতবর্ষে দিয়েছি। পশ্চিমবাংলাতেও দেবো। যাদের কষ্ট হচ্ছে, তাদের কষ্ট জানি। কয়লা টাকা খেয়ে কালো, মোটা হয়ে গেছে। বালির টাকা খেয়ে ফর্সা হয়ে গেছেন। তারাই আমাদের চমকানোর চেষ্টা করছেন। ওটা করতে যেও না। আমরা দিল্লি অবধি চমকাতে পারি।” বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মেনগেট এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে এসে এমনই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারী দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, লকডাউনের জেরে গত ৩ মাস রাজনৈতিক দলগুলির জেলা সফর কর্মসুচী একপ্রকার বন্ধ ছিল। বুধবার বীরভুম থেকে দুর্গাপুরে আসেন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া যাওয়ার আগে সকালে দুর্গাপুর মেনগেট এলাকায় দলীয়কর্মীদের নিয়ে চা চক্র করেন। এদিন তিনি বলেন,” রাষ্ট্রপতির কাছে আমরা পিড়িত তাই আমরা যাব। ওনারা কেন যাচ্ছে। কোভিড থেকে আমফানের দুর্নীতি সব খোলসা হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের কাছে। তাই বাঁচার জন্য দৌঁড়াচ্ছেন। মনে হয় বাঁচবার জন্য যমরাজের কাছেও যাবেন।” আমফানে দুর্গত এলাকায় যেতে বাধা ও রাজারহাটে চা চক্রে বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি হুঁশিয়ারীর সুরে বলেন,” কেউ যদি মনে করে আমরা কোথায় যাব, কোথায় চা খাব ঠিক করে দেবে। একটু ধারনাটা পাল্টে নাও। সিপিএমের লোকেরা আগে চমকাত। চারদিকে লাল ঝান্ডা, লাল চোখ দেখা যেত। এখন দুএকটা স্যাম্পেল হিসাবে আসে। আর লাল চোখ এখন গেরুয়া হয়ে গেছে। মানুষের কাছ থেকে সরে গেলে দড়ি দেখলে সাপ মনে হয়। দিদিমনি এখন সাপ দেখছেন। বিজেপিকে ভয় করছেন। বিজেপির মিটিং মিছিল আটকে দিচ্ছেন।”
এদিন দিলীপবাবু আরও বলেন,” গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে, দুর্নীতিমুক্ত, হিংসামুক্ত প্রশাসন সারা ভারত বর্ষে দিয়েছি। পশ্চিমবাংলাতেও দেবো। যাদের কষ্ট হচ্ছে, তাদের কষ্ট জানি। কয়লা টাকা খেয়ে কালো, মোটা হয়ে গেছে। বালির টাকা খেয়ে ফর্সা হয়ে গেছেন। তারাই আমাদের চমকানোর চেষ্টা করছেন। ওটা করতে যেও না। আমরা দিল্লি অবধি চমকাতে পারি।” অনুব্রত মন্ডলের হাতজোড় করে ক্ষমা চাওয়াকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,” অনেক ফুট ইঞ্চি চমকাত। বীরভুমে একজন দিদির প্রিয় ভাই। যার অক্সিজেন কম যায়। তিনি জায়গা জায়গায় হাতজোড় করে ক্ষমা চায়ছেন। আর কত মায়ের কোল খালি হল। যে পরিবারের অবিভাবক চলে গেল, তারা ক্ষমা করবে?”
আরও পড়ুন: অটল জ্যোতি যোজনায় দু’হাজার সৌরবাতি স্থাপন করলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার
তিনি বলেন,” দিদিমণি কোভিডে মারা যাওয়া সরকারী কর্মীদের জন্য সান্তনা পর্যন্ত তাদের পরিবারকে দেননি। দিদিমণির ভুলের জন্য কোভিড বাড়ছে। লকডাউন মানেনি। তার পরিনাম হয়েছে সাধারন মানুষের জীবন বিপন্ন। বেড নেই হাসপাতালে। বেড শুধু ওয়েবসাইট আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে আছে। মানুষের এত দুর্গতি, কেউ রাস্তায়, কেউ বাড়িতে মারা যাচ্ছে। এরকম অমানবিক সরকার আগে দেখিনি।” তিনি আরও বলেন,” প্রধানমন্ত্রী হাততালি বাজিয়ে পুস্পবৃষ্টি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিনন্দন জানাতে বলেছিলেন। দিদিমণির ভাইয়েরা বলেছিল হাততালি দিয়ে করোনা যাবে না। তাই বলছি হাততালি বাজিয়ে তৃণমূলকে বিদায় করব।”