fbpx
কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন

চিকিৎসা মিলবে, কিন্তু পড়শি রাজ্যের কোভিড কেস বাংলায় নথিভুক্ত হবে না: নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর 

অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের করোনা রোগীর সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪০ হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছে। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘প্রতিবেশী রাজ্যের বাসিন্দাদের এ রাজ্যে চিকিৎসা হবে ঠিকই, কিন্তু তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গের হিসেবে ধরলে চলবে না।’

প্রসঙ্গত, কোন পদ্ধতিতে করোনা মহামারীর সময়ে সংক্রমণ কমানো যেতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। এ রাজ্যের মানুষ যেমন ভিনরাজ্যে যান, তেমন ভিনরাজ্যের বহু মানুষও এ রাজ্যে আসেন। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভিন রাজ্যের লোকজনকে এই রাজ্যের মানুষের হিসেবে ধরলে সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। তাই তাদের আলাদা করে ধরলেই ভাল।

পশ্চিম বর্ধমানের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের পিছনে শিল্প-কারখানার ভূমিকা রয়েছে কি না, তা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে জেলাশাসক জানান, ওই জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে ভিনরাজ্যের বহু রোগীও আসছেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। প্রত্যেকের আসল ঠিকানা হাসপাতালের নথিতে যাতে থাকে, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এছাড়াও করোনায় রাজ্য সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হলে স্বাস্থ্যবীমা অনুযায়ী ১০ লক্ষ পরিবার পিছু দেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছিল। আগের তুলনায় পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হলেও সংক্রমনের ভয় সম্পূর্ণভাবে এখনো কাটেনি। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যবীমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এদিন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কে বলে তা নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Related Articles

Back to top button
Close