লক্ষ্য একুশ, অভাব, অভিযোগ, সমস্যা শুনতে ১ডিসেম্বর থেকে ঘরে ঘরে ‘দুয়ারে সরকার’

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: ১ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। দেখা যাচ্ছে, শহরই হোক বা গ্রাম, রাজ্যের ৯৯ শতাংশ মানুষই সরকারের কোনও না কোনও সুবিধা পেয়েছে। আগামী এপ্রিল-মে মাসে রাজ্য বিধানসভার ভোট। তার আগেই এই প্রকল্পগুলির একশো শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে দুয়ারে সরকার। রাজ্যে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানান ধরনের প্রকল্প চালু করেছিলেন।জনতার ঘরে ঘরে সরকারি সুবিধা পৌঁছে দিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন নয়া প্রকল্পের দুয়ারে দুয়ারে সরকার। ভোটের আগে রাজ্যবাসীর অভাব-অভিযোগ তাতেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে এবার চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ নামে কর্মসূচি। এমনকী বঞ্চনা-উপেক্ষার কথাও নির্দিষ্ট বয়ানে তা লিখে দিতে হবে। তার জন্য থাকবে ড্রপ বক্স। আগামী দু’মাস ধরে এই কাজ সফলভাবে করতে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
অভাব, অভিযোগ, সমস্যা শুনতে মঙ্গলবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লকের সমস্ত পরিকাঠামো নিয়ে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আগামী দু’মাস ধরে চারটি পর্যায়ে হবে শিবির। এখান থেকে ১২টি পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা কার্যত ঘরের দুয়ারে গিয়ে হাতে হাতে পৌঁছে দেবে প্রশাসন। সেই সঙ্গে জনসাধারণের অভাব, অভিযোগ ও সমস্যার কথাও শুনবেন প্রশাসনের কর্মীরা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৩টেপর্যন্ত রাজ্যের ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের তরফে ক্যাম্প করা হবে। মোট চারটি ধাপে কাজ শেষ করা হবে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী ,জাতিগত শংসাপত্র,কন্যাশ্রী রূপশ্রী ঐক্যশ্রী কৃষি বন্ধু ১০০ দিনের কাজের মত ১১ টি প্রকল্প নিয়ে জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শিবির হবে।
বহু ক্ষেত্রে সরকারি এই সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ আবেদন করলেও, তা প্রশাসনের কোনও স্তরে আটকে রয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরে তাঁরা এলে আধিকারিকরা তার নিষ্পত্তি করে দেবেন। তা সফল করার জন্য রাজ্য সরকার শনিবারই ২৩ জেলার জন্য একজন করে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব বা প্রধান সচিব পদমর্যাদার আধিকারিককে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নোডাল অফিসারদের কাজ হবে, জেলাগুলিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সফল করতে জেলাশাসক ও দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় করা। ১১টি সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সকলেই পায়, সেদিকে প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় বাড়ল কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা
দেখা যাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে সরকারি এই সুবিধা পাওয়ার জন্য মানুষ আবেদন করলেও, তা প্রশাসনের কোনও স্তরে আটকে রয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির শিবিরে তাঁরা এলে আধিকারিকরা তার নিষ্পত্তি করে দেবেন। তা সফল করার জন্য রাজ্য সরকার শনিবারই ২৩ জেলার জন্য একজন করে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব বা প্রধান সচিব পদমর্যাদার আধিকারিককে নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছে। সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নোডাল অফিসারদের কাজ হবে, জেলাগুলিতে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি সফল করতে জেলাশাসক ও দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় করা। ১১টি সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা যাতে সকলেই পায়, সেদিকে প্রচারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
সামনেই বিধানসভার নির্বাচন। নির্বাচনের প্রাক্কালে একাধিক দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ ও সেই সাথে সরকারিভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পড়ি সেবা পৌঁছে দিতে বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। জনগণের কাছে বেশি করে পৌঁছতে চাইছে রাজ্য সরকার।