ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল নিজেই হলেন ঢাকি

বাবলু প্রামানিক, দক্ষিণ ২৪পরগনা: নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের পুজো গুলিতে নিজেই ঢাক বাজিয়ে ঢাকি হলেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের দুই বারের বিধায়ক হন শ্যামল মন্ডল। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তন ঘটে। বাম জমানার অপশাসন ঘটিয়ে আসে মা মাটি মানুষের সরকার।জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝড়ে খড় কুঠোর মতন উড়ে যায় ৩৪ বছরের বাম সরকার। আর এই সালেই ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূলের প্রার্থী শ্যামল মন্ডল। আবার ২০১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয় তৃণমূলের প্রার্থী শ্যামল মন্ডল। বিধায়ক শ্যামল মন্ডল মাটির মানুষ। এলাকার মানুষজন তাকে ভগবান রূপে দেখে।
তিনি সবসময় মানুষের পাশে মানুষের সাথে। বিধায়ক শ্যামল মন্ডল কখনও মাঠে নেমে চাষীদের সঙ্গে ধান রোপণ করতে থাকে। আবার মুড়ি বাজীদের সঙ্গে মুড়ি বাজতে থাকে।এমনকি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে জাল ফেলে মাছ ধরতে শুরু করে। এমনকি গরীব মানুষের বাড়ির মধ্যে ঢুকে কাচা লঙ্কা পেঁয়াজ দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে তাদের হাঁড়ির খবর নিয়ে চলে আসে। আর প্রতি বছর আগমনীর সুরে ঢাক কাঁধে নিয়ে বিধায়ক শ্যামল মন্ডল মন্ডপে মন্ডপে নেমে পড়ে আনন্দে উৎসবে সুখ দুঃখ সব কিছু ভাগ করে নিতে সাধারণ মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে। এবারে অষ্টমী,নবমীতে তার ব্যতিক্রম ঘটল না।
ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বাঁশড়া অঞ্চলের গৌড়দহ দীনদাস স্মৃতি বিদ্যামন্দির,গৌড়কুহু কেকা, শক্তিপল্লী শক্তি সংঘ,গৌড়দহ নেতাজী সংঘ,পিয়ালি উত্তর পাড়া ত্রিনয়নী,নারায়ণপুর সুকান্ত স্মৃতি সংঘ,শ্রীকৃষ্ণপুর মিতালি সংঘ সার্বজনীন দুর্গোৎসব সহ একাধিক দুর্গোৎসবে কখনও কাঁধে ঢাক নিয়ে ঢাক বাজিয়ে ঢাকি হলেন বিধায়ক শ্যামল মন্ডল। আবার অসহায় মানুষগুলির হাতে তুলে দিলেন নতুন বস্ত্র। হাইকোর্টের রায় কে প্রধান্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম কানুন মেনেই সব কিছু করলেন বিধায়ক শ্যামল মন্ডল।
আবার স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ে বিধায়ক নিজেই সচেতন করে তুললেন সাধারণ মানুষজনকে। বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন প্রতি বছর ঢাক বাজিয়ে মায়ের প্রার্থনা করি সারা বছর সর্ব ধমের মানুষজন গুলি যেন ভালো থাকুক,সুস্থ থাকুক। এ বছর করোনা ভাইরাস মহামারী এবং লকডাউনে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায় কে প্রধান্য দিয়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিধি নিয়ম কানুন মেনেই পুজো গুলি হচ্ছে।